বুধবার (৮ মার্চ) সকালে হাটহাজারীর কাটিরহাট মহিলা কলেজে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কাটিরহাট মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ কল্যাণ নাথের সভাপতিত্বে সেমিনারে ড. জয়নাব বলেন, প্রথাগত পুরুষতান্ত্রিক ক্ষীণ মনোবৃত্তি ও দৃষ্টিভঙ্গির কারণে লিঙ্গ বৈষম্যের শিকার হচ্ছে।
যে সমাজ নারীর কৃতকর্মের অবদানের স্বীকৃতি দেয় না এবং অবরুদ্ধ রাখতে চায়, সে সমাজের অনুশাসন ভেঙে নারীকে তার নিজের ভাগ্য নিজেকেই গড়তে হবে আপন মহিমায়, সমতার মর্যাদায়। গত তিন দশকে লাতিন আমেরিকা, আফ্রিকা, পশ্চিম ও দক্ষিণ এশিয়ার নারী সমাজের সার্বিক অগ্রগতি হলেও প্রত্যাশিত অবস্থায় পৌঁছায়নি।
উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রায় ৬০ কোটি নারী এখনো দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করছে।
‘বৈশ্বিক পরিবর্তনে লৈঙ্গিক সমতা ও নারীর ক্ষমতায়ন: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী কাফি মিল্লাত।
আহিয়াত মান্নানের সঞ্চালনায় সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন কাটিরহাট মহিলা কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য মো. শাহনেওয়াজ চৌধুরী, হাটহাজারী প্রেসক্লাবের সভাপতি কেশব কুমার বড়ুয়া, গণমাধ্যমকর্মী পূরবী দাশগুপ্ত, কলেজের উপাধ্যক্ষ ছৈয়দুল হক, সোলতানুল আলম চৌধুরী।
বক্তারা আরও বলেন, বেগম রোকেয়া থেকে সুফিয়া কামাল পর্যন্ত যে সময় অতিবাহিত হয়েছে সে সময়ে তারা যে বাংলার নারীর স্বীয় মর্যাদা, অধিকার, নারীমুক্তির সংগ্রামে লিপ্ত ছিল, যা আজ আমাদের কাছে নারী মুক্তি আন্দোলনের উদাহরণ ও প্রেরণা। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, পাকিস্তানবিরোধী আন্দোলন এবং মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে নারীদের ভূমিকা ছিল অনন্য। একজন নারী প্রতিদিন ১৬ থেকে ২০ ঘণ্টা পরিশ্রম করে। রান্নাবান্না, সন্তানদের শিক্ষায় শ্রমসহ মোট ৪৫ রকম কাজ করে নারীরা। মোট রপ্তানির ৭৫ ভাগ অর্জনকারী শিল্পের মূল চালিকাশক্তি কিন্তু নারী। তাই অধিকার প্রতিষ্ঠায় তাদেরই প্রতিবাদী হতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০১৭
এসবি/টিসি