গত সপ্তাহের রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে আবাসিকের এক ছাত্রী রহস্যজনক কারণে আলাওল হলের সামনের যাত্রীছাউনিতে পড়ে থাকার ঘটনার পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রীতিলতা হল, শামসুন্নাহার হল ও বেগম খালেদা জিয়া হলের প্রবেশমুখে দুইটি করে মোট ছয়টি আইপি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে।
যদিও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জিরো পয়েন্ট, স্টেশন চত্বর, প্রশাসনিক ভবন, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে ও ছেলেদের কয়েকটি হলের প্রবেশমুখসহ ২৭ জায়গায় আগে থেকেই ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে সার্বিক নিরাপত্তায় ছেলেদের হলসহ ২৭ জায়গায় আগে থেকে সিসি ক্যামেরা ছিল কিন্তু মেয়েদের হলগুলোতে ক্যামেরা ছিল না।
২৪ ঘণ্টা এই ক্যামেরা পর্যবেক্ষণে লাগবে তাদের। এছাড়া যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এই ক্যামেরাগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা লাগবে বলে আশা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের।
প্রীতিলতা হলের আবাসিক ছাত্রী ও বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের সামিয়া খান তানিয়া বাংলানিউজকে বলেন, এটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অবশ্যই ভালো একটি উদ্যোগ। মেয়েদের একটি নিরাপত্তার ব্যাপার-স্যাপার আছে সেই বিবেচনায় ক্যামেরাগুলো বসিয়ে ভালো কাজ করেছেন তারা।
খালেদা জিয়া হলের আবাসিক ছাত্রী সাফরিন রচি বলেন, বহিরাগতদের আনাগোনা ও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানোর জন্য ঠিক আছে। ক্যামেরা লাগানোর ফলে আমরা এখন শতভাগ নির্ভয়ে থাকতে পারছি। বলা যায় এখন নিরাপত্তার মধ্যে আছি।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অফিস। সেখানে কম্পিউটারের স্ক্রিনে আইপি ক্যামেরাগুলো পর্যবেক্ষণ করছেন প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, মেয়েদের সার্বিক নিরাপত্তা, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানো ও বহিরাগতদের আনাগোনা ঠেকানোর জন্য মূলত তিনটি হলে এই ছয়টি এই আইপি ক্যামেরা লাগানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক নিরাপত্তার অংশ এটি। আমাদের চিন্তাভাবনা আছে, সামনে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা হবে। আশা করছি এই ক্যামেরাগুলো থাকার কারণে যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানো সম্ভব হবে এবং তাৎক্ষণিক ব্যবস্থাও নেওয়া যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০১৭
জেইউ/টিসি