ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পাসপোর্টে রাজস্ব বাড়ল সাড়ে ৭ কোটি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৮ ঘণ্টা, মার্চ ১, ২০১৭
পাসপোর্টে রাজস্ব বাড়ল সাড়ে ৭ কোটি পাসপোর্টে রাজস্ব বাড়ল সাড়ে ৭ কোটি

চট্টগ্রাম: ‘পাসপোর্ট নাগরিক অধিকার, নিঃস্বার্থ সেবাই অঙ্গিকার’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে পাসপোর্ট সেবা সপ্তাহ চলছে। ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে নগরীর পাঁচলাইশের আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস এবং মনসুরাবাদ বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসে পাসপোর্ট সেবা সপ্তাহ পালিত হচ্ছে ।

২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এ পাসপোর্ট সেবা সপ্তাহ চলবে ২ মার্চ (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত।

বুধবার (১ মার্চ) পাঁচলাইশ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে দেখা যায়, অন্যান্য দিনের তুলনায় সেবা সপ্তাহে পাসপোর্ট অফিসের কার্যক্রম একটু আলাদা।

পাসপোর্টের উপ-পরিচালকসহ অফিসের সকল কর্মকর্তাগণ নিজ অফিস কক্ষ ছেড়ে অস্থায়ী হেল্প ডেক্সে এসে নানান ধরনের সেবা দিয়ে দিচ্ছেন।

সাইফুর রহমান নামে কর্ণফুলী এলাকা থেকে পাসপোর্ট সেবা নিতে আসা এক আবেদনকারী বাংলানিউজকে বলেন, মাসখানেক আগে এ অফিসে আবেদন জমা দিতে এসেছিলাম।

তখন এক রকম পরিবেশ ছিল। কিন্তু আজ (১ মার্চ) অফিসে সাজ সাজ রব। অফিসের কর্মকর্তারা এবার নিজ থেকে কি কাজে আসছেন, তা জিজ্ঞেস করেই স্লিপ নিয়ে নিচ্ছেন। পাসপোর্ট অফিসে এসে সেবা পাচ্ছি ঠিক আছে। কিন্তু আবেদনের পর ভেরিফিকেশনের জন্য আমাদের আবেদনের ফাইলগুলো ঠিক সময়ে আসে নি। সেই বিষয়ে নজরদারি বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে। কেননা, পুলিশ ভেরিফিকেশনের যে ভোগান্তি পেতে হয়, সেই বিষয়ে সমাধান হলেই পাসপোর্ট নির্ধারিত সময়ে পাওয়া যেতে পারে।

পাসপোর্ট অফিস সূত্রে জানা যায়, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর পাসপোর্ট ইস্যুর ক্ষেত্রে অন্য তিনটি অফিসের উপর নির্ভরশীল। ফিস সংগ্রহের জন্য ব্যাংক, পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য পুলিশ বিভাগ, পাসপোর্ট সরবরাহের জন্য ডাক বিভাগ। এ অফিস গুলোর কোন একটির সেবা প্রদানে বিলম্ব হলে পাসপোর্ট প্রদান প্রক্রিয়া বিলম্ব হয়। পুলিশ প্রতিবেদনের জন্য একই ঠিকানা হলে প্রতিবেদন দ্রুত পাওয়া যায় এবং বর্তমান ও স্থায়ী দুই ঠিকানা দুটি হলে পুলিশ প্রতিবেদন পেতে সময় লাগে। ব্যাংকে পাসপোর্ট ফি জমা দিতে গিয়ে অনেকে ভুল করে এক নামের টাকা জমা দিতে গিয়ে অন্য নামে ফরম পূরণ করে। সেক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি হয়। আবার কোন কোন সময় ডাক বিভাগ ঢাকা থেকে তৈরিকৃত পাসপোর্ট আঞ্চলিক অফিস গুলোতে বিলম্বে প্রেরণ করে। সেবা সপ্তাহে ১ হাজার ৭৫৩টি আবেদনপত্র জমা পড়েছে এবং ১ হাজার ২৩৮টি পাসপোর্ট আবেদনকারীদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।

পাসেপোর্ট সেবা সপ্তাহের বিষয়ে জানতে চাইলে পাঁচলাইশ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক শাহ মুহাম্মদ ওয়ালিউল্লাহ বাংলানিউজকে জানান, বর্তমান সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে প্রত্যয়, তার শতভাগ বাস্তবায়নের পথে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর। বর্তমানে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট ইস্যুর যে প্রক্রিয়া তাহা সম্পূর্ণই ডিজিটাল এবং ডাটাবেজ নির্ভর। আবেদনকারী নিজেও মোবইলে মেসেজ দিয়ে পাসপোর্ট ইস্যুর সর্বশেষ অগ্রগতি জানতে পারছে।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে উপ পরিচালক শাহ মুহাম্মদ ওয়ালিউল্লাহ জানান, পাচঁলাইশে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে গত এক বছরে (২০১৬ সাল) ১ লাখ ৮৩৪টি আবেদনপত্র জমা পড়ে। এরমধ্যে ৯৮ হাজার ৯৫৪টি পাসপোর্ট ইস্যু হয়। ইস্যুকৃত পাসপোর্টের মধ্যে ৩৪৭টি অফিসিয়াল ও  ৯৮ হাজার ৬০৭টি সাধারণ পাসপোর্ট। এরমধ্যে ১৪ হাজার ৯৫০টি জরুরি এবং ৮৩ হাজার ৬৫৭টি সাধারণ ফিসের মাধ্যমে জমা হয়েছে। এফিস সমস্যার কারণে ৪১৬টি, ডেমোর কারণে ৫৯৭ টি,  ৭৯১টি আবেদন পুলিশ প্রতিবেদন বিপক্ষে যাওয়ার কারণে, তথ্যগত ভুলের কারণে ৪৭টি  এবং আবেদনপত্র ব্যাংকে ভুল নামে টাকা জমা দেওয়ার কারণে ২৯ টি আবেদন বাতিল করা হয়েছে। একই বছর পাসপোর্ট অফিস থেকে ৫৬ হাজার ৮৭২টি পুলিশ প্রতিবেদনের জন্য পাঠানো হয়। এরমধ্যে ৫৬ হাজার ৬২৫ টি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। যেখানে ৭৯১টি প্রতিবেদন বিপক্ষে গেলেও ২৪৭টি প্রতিবেদন এখনও পাওয়া যায়নি। তবে আগের বছরের চেয়ে ৭ কোটি ৪৬ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৪ টাকা বেড়ে ২০১৬ সালে ৩৯ কোটি ৭৯ হাজার ৮৯ টাকার রাজস্ব পাওয়া গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, মার্চ ১, ২০১৭

এসবি/টিসি

 

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad