এই সড়কটির প্রায় পুরোটা পথই পাহাড়ের উপর দিয়ে চলে গেছে। এই সড়ক দিয়েই দুর্গম থানচি উপজেলায় গেছে বিদ্যুৎ।
পিডিবি সূত্র জানায়, বান্দরবান থেকে ওয়াই জংশন পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার এবং ওয়াই জংশন থেকে চিম্বুক পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার পথ আগে থেকেই বিদ্যুতের আওতায় ছিল। থানচি বিদ্যুতায়ন প্রকল্পের অধীনে চিম্বুক থেকে বলিপাড়া পর্যন্ত প্রায় ৪০ কিলোমিটার পথ ৩৩ কেভি এবং বলিপাড়া থেকে থানচি বাজার পর্যন্ত প্রায় ২০কিলোমিটার পথ ১১ কেভি নতুন লাইন স্থাপন করা হয়েছে।
পিডিবির সহকারী প্রকৌশলী ও থানচি বিদ্যুতায়ন প্রকল্পে মাঠ পর্যায়ে নেতৃত্ব দানকারীদের একজন নুরুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, ‘বান্দরবান-থানচি সড়কের কোথাও সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৯শ ফুট উপরে, আবার কোথাও নিচু। তাই এখানে কাজ করা ছিল সমতলের চেয়ে শতভাগ বেশি কষ্টের। পাহাড়ের এত উপরে খুঁটি নিয়ে যাওয়া, স্থাপন করা অনেক দুঃসাধ্য ব্যাপার ছিল। তবে সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আমরা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। ’
পিডিবি সূত্র জানায়, ২০১৫ সালের ২২ এপ্রিল পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় এই প্রকল্পের অনুমোদন দেয়। এর কিছুদিন পর প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। ধাপে-ধাপে কাজ করার পর প্রায় ১৪ মাসের মাথায় ২০১৬ সালের ৩০ জুন প্রকল্পের কাজ শেষ হয়। আরও কিছু কিছু ছোটখাটো স্থাপনকাজ বাকি থাকায় এর দুই মাসের মাথায় ২৪ আগস্ট থেকে বিদ্যুৎ পায় উপজেলার বাসিন্দারা। এ পর্যন্ত ৩০০ এর উপর অধিক সংযোগ দেওয়া হয়েছে।
তবে অনানুষ্ঠানিকভাবে চালু হলেও আগামী ১ মার্চ (বুধবার) সকাল ১১টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই নতুন বিদ্যুতায়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
থানচি বাজারে কথা হয় উপজেলা চেয়ারম্যান ক্যহ্লাচিং মারমার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘একসময় আমার উপজেলায় আসার সড়ক পথও ছিল না। নদীপথে আসতে অনেক সময় লেগে যেত। সেই উপজেলার মানুষের কাছে ১৯০০ ফুট উপর দিয়ে বিদ্যুৎ আসবে-সেটা ছিল অকল্পনীয় ব্যাপার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের কথা ভেবেছেন বলেই এটা আর কল্পনার নয়, বাস্তব সত্য। ’
থানচির ‘কালো’ সরালো বিদ্যুতের আলো
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৭
টিএইচ/আইএসএ/টিসি