মারধরের শিকার মোনায়েব এখনও সুস্থ হয়ে ওঠেনি। তার চিকিৎসা চলছে।
কিন্তু কিছুদিন চুপ থাকার পর আবারও শুরু হয় চাঁদার জন্য হুমকি-ধামকি।
এই ভয়ে বাবা মাহবুবুল হক প্রায় অনেকদিন ছেলেদের ক্যাম্পাসে পাঠাননি। কিন্তু এভাবে আর কতদিন? বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস করতে গেলে ছেলেদের যেন কোনো ক্ষতি না হয় সেজন্য ক্যাম্পাসে তাদের নিয়ে আসেন বাবা মাহবুবুল হক ও মা মারুফা রহমান।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের সামনে বসেছিলেন ডা.মাহবুবুল হক দম্পতি। একটু আগেই ছেলে মেজবাহকে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে এসেছেন। ছেলে এখন ক্লাসে, তাই বাবা-মা বসে আছেন সেখানে। ক্লাস শেষে ছেলেকে নিয়ে বাসায় ফিরবেন। গত একমাস ধরে এভাবেই চলছে।
অভিযোগ করে ডা.মাহবুবুল হক বাংলানিউজকে বলেন, ‘সাড়ে তিনলাখ টাকা চাঁদার জন্য তারা দেড়মাস ধরে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে। বিভিন্ন নাম্বার থেকে কল করে টাকা না দিলে ছেলেকে খুন করা হবে বলেও হুমকি দিয়েছে। তাই ছেলেকে আমরা প্রতিদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে আসি। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশকে মৌখিকভাবে জানিয়েছি। ’
তিনি বলেন, ‘আমরা খুব ভয়ের মধ্যে আছি। আমি শুধু ছেলের জন্য তিনমাস ছুটি নিয়েছি। এভাবে ছেলেকে নিয়ে পড়ে থাকলে আমি চাকরি করবো কীভাবে। ’
মা মারুফা রহমান বলেন, ‘ঘরের সব কাজ বাদ দিয়ে ছেলেকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসি। বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস করতে আসলে ছেলেকে খুন করবে বলে হুমকি দিয়েছে। ছেলের যাতে কোনো ক্ষতি না হয় তাই তাকে নিয়ে ক্যাম্পাসে আসি। ছেলের ক্লাস শেষ হলে আবার বাসায় চলে যাই। ’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, ‘তাদের আমরা লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি। অভিযোগ দিলেই ব্যবস্থা নেব। ’
বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোকাদ্দেস মিয়া বলেন, ‘হুমকির বিষয়টি মৌখিকভাবে তারা আমাদের জানিয়েছেন। তাদেরকে থানায় জিডি করতে বলেছি। মামলা বা জিডি করলে আমার ব্যবস্থা নেব। ’
এ ব্যাপারে ডা.মাহবুবুল হক বলেন, ‘এর আগে-তো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। কয়বার অভিযোগ দিবো। যেহেতু আবারও দিতে বলেছেন, লিখিত অভিযোগ দিবো। থানায়ও জিডি করবো। ’
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৭
জেইউ/আইএসএ/টিসি