সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে আটটায় একদল জলদস্যু ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে ওই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
একই সময়ে উদ্ধার করা হয়েছে ৩টি দেশি লম্বা বন্দুক, ৩টি থ্রি কোয়ার্টার রাইফেল, ৩টি কাটাবন্দুকসহ ৩০ রাউন্ড কার্তুজ।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন মহেশখালী থানার এসআই ফখরুল ইসলাম ও মিনহাজ, এএসআই জাহাঙ্গীর আলম ও কনস্টেবল মিথুন ভৌমিক এবং ভিডিপি সদস্য বিষু শর্মা।
আটক ঝুনু কালারমারছড়া ইউপি’র উত্তর নলবিলা গ্রামের আব্দুল গনির ছেলে।
পুলিশ সূত্র জানায়, মহেশখালী সদর ও মাতারবাড়ি সংযোগ সড়কের দারা খাল এলাকায় দীর্ঘদিন থেকে একটি শক্তিশালী জলদস্যু সিন্ডিকেট তৎপরতা চালিয়ে আসছিল। সন্ধ্যা নামলেই সুযোগ বুঝে এরা সড়কে নেমে পড়ে। এই ডাকাত চক্রটি সড়কে ডাকাতির জন্য নেমেছে এ রকম খবর পেয়ে বিপুলসংখ্যক পুলিশ সাদা পোশাকে ওই এলাকায় অবস্থান নেয়। পুলিশ ডাকাতদের চ্যালেঞ্জ করলে ডাকাতরা পুলিশকে লক্ষ্য করে শতাধিক রাউন্ড গুলি চালায়। এ সময় পুলিশও পাল্টা ৩০ রাউন্ড গুলি ছোড়ে।
মহেশখালী থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বাংলানিউজকে জানান, গ্রেফতার হওয়া ঝুনুর বিরুদ্ধে খুন, ডাকাতি, হত্যা মামলাসহ প্রায় ৬-৭টি মামলা রয়েছে। তাকে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও ডাকাতি আইনে নতুন করে মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৭
টিটি/টিসি