ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মিতু খুনের আগে বদলে গিয়েছিল বাবুল, বলল সাহেদা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৭
মিতু খুনের আগে বদলে গিয়েছিল বাবুল, বলল সাহেদা  বাবুল আক্তার ও মাহমুদা খানম মিতু

চট্টগ্রাম: মাহমুদা আক্তার মিতু খুনের ৫-৭ দিন আগে থেকে তার স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের আচরণে দৃশ্যমান পরিবর্তন হয়েছিল।  এতে বাবুলকে নিয়ে সন্দেহের স্ত্রী মিতুর মনে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছিল।  মিতু বিষয়টি তার মা সাহেদা মোশাররফকে জানিয়েছিলেন।

রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিএমপির গোয়েন্দা ইউনিটের অতিরিক্ত উপ কমিশনার মো.কামরুজ্জামানের কাছে বিষয়টি প্রকাশ করেছেন সাহেদা মোশাররফ।   এসময় সেখানে সাহেদার স্বামী মোশাররফ হোসেন এবং মেয়ে শায়লা মোশাররফ নিনজাও ছিলেন।

মোশাররফ হোসেন টেলিফোনে বাংলানিউজকে বলেন, এমনিকে বাবুল আক্তার মিতুর সঙ্গে ভাল আচরণ করত না।   কিন্তু মিতু মারা যাওয়ার ৫-৭ দিন আগে বাবুল আক্তারের আচরণ পরিবর্তন হয়েছিল।

  তার আচরণ ভাল হয়ে গিয়েছিল।  মিতু তার মাকে বলছিল যে, মা আমার সন্দেহ লাগছে, হঠাৎ করে বাবুলের আচরণ পরিবর্তন হয়ে গেল কেন।   তার মোটিভটা ভাল লাগছে না।  

‘মিতুর মা আইও সাহেবকে বলেছে।   আমরা বলেছি, এই পথ ধরে আগালে হয়ত একটা মোটিভ বের হতে পারে। ’ বলেন মোশাররফ হোসেন

এর আগে দুপুর পৌনে তিনটার দিকে ঢাকার রামপুরার মেরাদিয়ায় সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফের বাসায় পৌঁছেন তদন্ত কর্মকর্তা।   মিতু খুনের পর তার স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার দুই ছেলেমেয়েকে নিয়ে দীর্ঘদিন এই বাসায় ছিলেন।  

তদন্তকারী কর্মকর্তা মিতুর বাবা-মা ও বোনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।  

তবে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি তদন্তকারী কর্মকর্তা।   তিনি বাংলানিউজকে বলেছেন, বেশকিছু নতুন তথ্য পেয়েছি।   তদন্তের স্বার্থে আমি এসব বিষয় প্রকাশ করতে পারব না।

এর আগে গত ২২ ডিসেম্বর মোশাররফ এবং ২৬ জানুয়ারি মোশাররফ ও তার স্ত্রী সাহেদা মোশাররফকে নিজ কার্যালয়ে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর বাবুল আক্তারও সিএমপিতে এসে তদন্তকারী কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করেন।   স্ত্রী খুনের মামলার বাদি হিসেবে ওইদিন বাবুল আক্তার সিএমপিতে তদন্তকারী কর্মকর্তা কামরুজ্জামানের কার্যালয়ে হাজির হয়ে তার সঙ্গে কথা বলেন।

বাবুল আক্তারের মা-বাবা এবং দুই খালাতো ভাইকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।  

গত বছরের ৫ জুন সকালে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় নগরীর ও আর নিজাম রোডে দুর্বৃত্তদের উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত ও গুলিতে নিহত হন সদর দপ্তরে কর্মরত তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম ‍মিতু।   এ ঘটনায় বাবুল আক্তার নিজে বাদি হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৭

আরডিজি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।