ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মিতুর বাবার বাসায় তদন্তকারী কর্মকর্তা, যাবেন বাবুলের কাছেও

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৭
মিতুর বাবার বাসায় তদন্তকারী কর্মকর্তা, যাবেন বাবুলের কাছেও বাবুল আক্তার ও মাহমুদা খানম মিতু

চট্টগ্রাম: নৃশংস খুনের শিকার মাহমুদা খানম মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেনের বাসায় গেছেন চাঞ্চল্যকর এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ কমিশনার (এডিসি) মো.কামরুজ্জামান।  মোশাররফ ও তার স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্যই তিনি ওই বাসায় গেছেন।

রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর পৌনে তিনটার দিকে ঢাকার রামপুরার মেরাদিয়ায় সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফের বাসায় পৌঁছেন তদন্ত কর্মকর্তা।   মিতু খুনের পর তার স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার দুই ছেলেমেয়েকে নিয়ে দীর্ঘদিন এই বাসায় ছিলেন।

 

জানতে চাইলে এডিসি মো.কামরুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, তদন্তের প্রয়োজনে মোশাররফ সাহেব এবং তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলা জরুরি হয়ে পড়েছে।   সেজন্য এসেছি।

  পরিবারে যতজন সদস্য আছেন সম্ভব হলে প্রত্যেকের সঙ্গে কথা বলব।

শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদের পর তদন্তকারী কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের সঙ্গেও কথা বলবেন বলে নগর গোয়েন্দা পুলিশের সূত্রে জানা গেছে।

তবে এই বিষয়ে জানতে চাইলে কিছুই বলেননি তদন্তকারী কর্মকর্তা কামরুজ্জামান।

এর আগে গত ২২ ডিসেম্বর মোশাররফ এবং ২৬ জানুয়ারি মোশাররফ ও তার স্ত্রী সাহেদা মোশাররফকে নিজ কার্যালয়ে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর বাবুল আক্তারও সিএমপিতে এসে তদন্তকারী কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করেন।   স্ত্রী খুনের মামলার বাদি হিসেবে ওইদিন বাবুল আক্তার সিএমপিতে তদন্তকারী কর্মকর্তা কামরুজ্জামানের কার্যালয়ে হাজির হয়ে তার সঙ্গে কথা বলেন।

বাবুল আক্তারের মা-বাবা এবং দুই খালাতো ভাইকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।  

সূত্রমতে, হত্যাকান্ডের পর দীর্ঘসময় বাবুল আক্তারের পক্ষেই কথা বলেছেন তার শ্বশুর মোশাররফ।   তবে সম্প্রতি হত্যাকান্ডের জন্য তিনি বাবুল আক্তারের দিকেই সন্দেহের তীর ছুঁড়ছেন।  এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে মোশাররফ হোসেন ও তার স্ত্রী গণমাধ্যমে বাবুল ও মিতুর সংসার জীবন নিয়ে এমন তথ্য দিচ্ছেন যা তারা আগে প্রকাশ করেননি।   তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছেও এসব বিষয় নিয়ে তারা আগে কথা বলেননি।  

এসব বক্তব্যের বিষয়ে জানতেই মূলত তদন্তকারী কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের শ্বশুরের বাসায় গেছেন বলে সূত্র জানিয়েছে।

গত বছরের ৫ জুন সকালে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় নগরীর ও আর নিজাম রোডে দুর্বৃত্তদের উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত ও গুলিতে নিহত হন সদর দপ্তরে কর্মরত তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম ‍মিতু।   এ ঘটনায় বাবুল আক্তার নিজে বাদি হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৭

আরডিজি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।