এসময় প্রায় তিনঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখা হয় কলেজের অধ্যক্ষকে। শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে এই কর্মসূচিতে অংশ নেয়।
জেলা প্রশাসনের নির্দেশের পরেও ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আদায়কৃত অতিরিক্ত অর্থ ফেরৎ প্রদাণ কিংবা সমন্বয় না করার প্রতিবাদ শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে স্কুল চত্বরে অভিভাবক ফোরামের উদ্যোগে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এতে অভিভাবক ফোরামের সভাপতি আলাউদ্দীন বাবরের সঞ্চালনায় সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন, ক্যাবের কেন্দ্রিয় ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম নগরের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এ এম তৌহিদুল ইসলাম, নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল আজিম রনি, অভিভাবক ফোরামের নেতা অ্যাডভোকেট মুসলেম উদ্দীন শাহজাহান, শাহাদত হোসেন তানজু, ওমর কায়ুম তৈয়ব, হুমায়ুন কবির টিপু, ফারুখ হোসেন, অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, ফজিলা আকতার ডেইজী, ক্যাব চান্দগাঁও সভাপতি জানে আলম, ছাত্রলীগ নেতা ওয়াহিদ আলম ওয়াহিদ, নুরুন্নবী সাহেদ, আবু সাঈদ মুন্না, আনোয়ারুল কবির আকাশ প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, সিডিএ পাবলিক স্কুল যেহেতু গণপুর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান সেহেতু সরকারের নিয়ম মানতে তারা বাধ্য। কিন্তু সরকারের নির্দেশনা মানতে সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলির পরিচালনাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির কর্তৃপক্ষের কালক্ষেপন, অনীহা দু:খজনক ও রাস্ট্রদ্রোহী অপরাধের সামিল।
তারা আরও বলেন, ‘কোমলমতি শিশুদের শিক্ষা অধিকার নিয়ে ভর্তি বানিজ্য ও গলাকাটা ফিস আদায়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির কর্তৃপক্ষের এ ধরনের আচরণ পুরো মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষক সমাজকে প্রশ্নের সম্মুখীন করে তুলছে যা পুরো শিক্ষা সমাজকে হেয় প্রতিপন্ন করছে। তাই শিক্ষক সমাজের মান-মর্যদা রক্ষায় শিক্ষক সমাজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করছি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৭
টিএইচ/টিসি