এভাবেই বাংলানিউজকে কথাগুলো বলছিলেন চকরিয়ার গয়ালমারায় সড়ক দুর্ঘটনায় স্ত্রীকে হারানো আসাদুজ্জামান বাপ্পী। এ ঘটনায় নিজেও আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বাপ্পী।
দুর্ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কক্সবাজার যাচ্ছিলাম। শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টায় ঢাকার বৌদ্ধমন্দির থেকে মাইক্রোবাস করে রওনা হই।
শনিবার সকাল ৮টায় চকরিয়ার গয়ালমারায় পৌঁছায় আমাদের মাইক্রোবাসটি। আর সেখানে একমুহূর্তেই সমস্ত আনন্দ রূপ নেয় বিষাদে। ’
চকরিয়ার এ দুর্ঘটনায় পর্যটকবাহী মাইক্রোবাসটি উল্টে দুই বোনসহ ৪ জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন ঢাকার রায়েরবাগ এলাকার আসাদুজ্জামান বাপ্পীর স্ত্রী কুলছুমা আক্তার সুমি (২৫), তার বোন মুগদার মান্দা এলাকার মো.জিকুর স্ত্রী আয়েশা আক্তার শিল্পী (২০), ঢাকার দক্ষিণ বাসাবো সবুজবাগ এলাকার মো.কিবরিয়া (৪০) ও একই এলাকার আয়াত আলীর ছেলে মাইক্রোবাস চালক আমির হোসেন (৩০)।
আহতরা হলেন মো.বাপ্পী (২৮), কাজল (৩০), মো.বাবু (২২), সজল (২৮), জহির (৩২), ইব্রাহিম হোসেন আপন (২), মো.সজল (১৯), খাদিজা বেগম (২৭) ও সাথি (২৫)।
চিরিংগা হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ মো.আবুল হাশেম মজুমদার বাংলানিউজকে জানান, মাইক্রোবাসটি উল্টে দুই বোনসহ ৪ পর্যটক নিহত হন। এসময় অপর যাত্রীরা আহত হয়। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুর্ঘটনা কবলিত গাড়িটি উদ্ধার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৭
টিটি/আইএসএ/টিসি