শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সিভাসুর শহীদ মিনার চত্বরে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধনকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন। এর আগে মন্ত্রী সিভাসুর এনাটমি মিউজিয়াম পরিদর্শন করেন।
প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিভাগীয় ও জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর দিনব্যাপী এ উন্মুক্ত প্রদর্শনীর আয়োজন করে।
মন্ত্রী বলেন, বিশ্বের অনেক দেশে গেলাম।
তিনি বলেন, আমি সহযোগিতা করবো। আপনাদের প্রকল্প একনেকে অনুমোদনের জন্য ফাইট করবো।
প্রাণিজ আমিষ মেধাবী জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমা পেয়েছি আমরা। আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করে মিয়ানমার ও ভারত থেকে সমুদ্রসীমা অর্জন করেছি। এটি খয়রাত নয়। এ সমুদ্রসীমায় অনেক সম্পদ রয়েছে। অনেক সম্ভাবনা রয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর সময় মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ হয়েছিল উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এর পেছনে স্বাধীনতার শত্রুরা জড়িত ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খাদ্য নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দিয়েছেন। সাড়ে সাত কোটি থেকে বেড়ে এখন আমাদের জনসংখ্যা ১৬ কোটি। কিন্তু খাদ্য আমাদের উদ্বৃত্ত। গত বছর ৫০ হাজার মেট্রিকটন খাদ্য বিদেশে রপ্তানি করেছি। পৃথিবীতে মাছ উৎপাদনে আমরা এখন চতুর্থ। আমাদের এরিয়া ছোট, কিন্তু উৎপাদনক্ষমতা আমরা বাড়াচ্ছি।
অনুষ্ঠানের সভাপতি জেলা প্রশাসক মো. সামসুল আরেফিন বলেন, শিশুদের জন্য দুধ, ডিম, মাছ-মাংস নিশ্চিত করতে হবে। মেধাবী জাতি, মেধাবী প্রজন্ম গড়ে তোলার জন্য প্রাণিজ আমিষের বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহের ফলে মানুষ সচেতন হবে। খামারিরা নতুন নতুন প্রযুক্তি, জাত, ওষুধ, পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে পারবে। এর ফলে উৎপাদন, কর্মসংস্থান ও আয় বাড়বে। চাহিদা ও জোগান বাড়বে।
স্বাগত বক্তব্যে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক বলেন, এবারের প্রদর্শনীতে ৪০টি স্টল আছে। আগামী বছর আরও বড় আয়োজনে প্রদর্শনী করা হবে।
তিনি বলেন, প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে তিনটি স্কুল ডিম-দুধ দিয়ে স্কুল ফিডিং, বিনামূল্যে পশু-পাখির চিকিৎসাসেবা, প্রজনন সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৭
এআর/আইএসএ/টিসি