শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল সোয়া ১১টার দিকে প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালনের জন্য জড়ো হন সংগঠনটির শতাধিক নেতাকর্মী।
এসময় পুলিশ তাদের বাধা দিয়ে ব্যানার কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করে।
প্রায় আধাঘণ্টা ধরে পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তির পর বেলা পৌনে ১২টার দিকে পুলিশের ঘেরাওয়ের মধ্যেই সমাবেশ শুরু হয় বলে জানিয়েছেন যুব ইউনিয়নের নেতা আ ন ম আমান।
এসময় পুলিশ কর্মীদের শার্টের কলার ধরে টানাটানি করে এবং নেতাদের ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় বলে জানান আমান।
প্রেসক্লাবের সামনে দায়িত্বরত কোতয়ালি থানার এস আই বিকাশ চন্দ্র শীল বাংলানিউজকে বলেন, তেল-গ্যাস রক্ষা কমিটি কর্মসূচি পালনের জন্য কোন অনুমতি নেয়নি। তারা সড়ক বন্ধ করে সমাবেশ করার চেষ্টা করলে আমরা বাধা দিই। এসময় নেতাকর্মীরা আমাদের উপর চড়াও হয়েছিল। পরে সড়কের একপাশে সমাবেশ করায় আমরা আর বাধা দিইনি।
জাতীয় কমিটির চট্টগ্রামের সংগঠক রাহাত উল্লাহ জাহিদ বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়েছিলাম। পুলিশ বিনা উসকানিতে আমাদের উপর হামলা চালায়।
সুন্দরবনের কাছে রামপালে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের প্রতিবাদে তেল-গ্যাস রক্ষা জাতীয় কমিটি শনিবার দেশব্যাপী রাজপথ অবরোধের কর্মসূচি দিয়েছিল।
পরে পুলিশ ঘেরাওয়ের মধ্যে আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কমিটির চট্টগ্রামের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট জানে আলম।
বক্তব্য রাখেন সিপিবি নেতা অমৃত বড়ুয়া, গণসংহতি আন্দোলনের হাসান মারুফ রুমি, গণমুক্তি ইউনিয়নের রাজা মিয়া, বাসদ একাংশের সমন্বয়ক মহিম উদ্দিন, বাসদ আরেক অংশের সদস্য সচিব অপু দাশগুপ্ত এবং কমিটির চট্টগ্রামের সংগঠক রাহাতউল্লাহ জাহিদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৭
আরডিজি/টিসি