পাখির মালিক মীর রেজওয়ান হোসাইন টিপু বাংলানিউজকে বলেন, হল্যান্ডের ব্লু গোল্ড ম্যাকাউ দম্পতির বয়স তিন বছর। রাজধানী ঢাকার কাঁটাবনের পাখির বাজার থেকে বাচ্চা কিনেছিলাম।
তিনি জানান, রিও-লোরা প্রথমে 'হ্যালো' শিখে ফেলে। এরপর তাদের বাংলা শেখানোর বিষয়টি মাথায় এলো। যেই ভাবা সেই কাজ। আমি ও আমার সন্তানরা বাংলায় তাদের ডাকতে শুরু করলাম। 'এসো'। হাতে, কাঁধে বসানোর সময় বললাম 'বসো'। এভাবে বেশ কিছুদিন চললো। একদিন 'রিও' আমাকে দেখে বলে উঠল 'এসো'। আমি খুব খুশি হলাম।
টিপুর ছেলে জানাল, পাখি দুটি তাদের পরিবারের সবার ডাক নামও বলতে পারে।
টিপু বলেন, পাখি জোড়া প্রদর্শনীর কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। ইতিমধ্যে চার লাখ টাকা দাম উঠেছে। কিন্তু ফ্যামিলি মেম্বারের মতো হয়ে যাওয়ায় বিক্রির চিন্তা নেই।
পাখি দুটি দেখতে ভিড় লেগেই আছে স্টলে। সেখানেই কথা হয় ইউএসটিসির ছাত্রী ফাহমিদা আমিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, পাখি কথা বলাটা পুরোনো বিষয়। ময়না পাখি কথা বলে। হুমায়ূন আহমেদের নাটকে পাখি 'তুই রাজাকার' বলেছিল। কিন্তু একটি বিদেশি পাখি বাংলায় কথা বলাটা ইন্টারেস্টিং।
বিভাগীয় ও জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীর আয়োজন করে। মেলার উদ্বোধন করেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।
প্রদর্শনীতে বিচিত্র প্রজাতির দেশি-বিদেশি কেস বার্ড, কবুতর, পোষা কুকুর, গাভি, ছাগল, ভেড়া, তিতির, কোয়েল, মোরগ-মুরগি, টার্কি, তিতির, কুমির, অজগর, খরগোশ, বিলেতি ইঁদুর ইত্যাদি আনা হয়েছে। প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৬
এআর/আইএসএ/টিসি