ফলে ভোক্তাদের জীবনযাত্রায় মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি, গণপরিবহন ও শিল্প কারখানায় উৎপাদন খরচ বাড়বে যার খেসারত দিতে হবে ভোক্তাদের।
তাই গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবের মার্চের অংশ বাস্তবায়ন করা হলেও জুনের অংশটি বাতিল করার দাবি জানিয়েছেন কনুজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’র (ক্যাব) নেতারা।
শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান তারা। একইসঙ্গে গ্যাসের প্রাপ্যতা ও সেবার মান নিশ্চিত, এলপিজির সহজ প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা, বাসাবাড়িতে গ্যাসের অপচয় রোধে প্রিপেইড মিটার স্থাপন, জাতীয় গ্রিড থেকে গ্যাস বিতরণে সমতা আনয়ন, গ্যাস খাতে অনিয়ম ও সিস্টেম লস কমাতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণেরও দাবি জানিয়েছেন তারা।
এ দামবৃদ্ধি ন্যায়সঙ্গত ও যুক্তিযুক্ত নয় মন্তব্য করে তারা বলেন, ভোক্তাদের স্বার্থ চিন্তা না করে সরকারি-বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণে কাজ করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেশন কমিশন তাদের মূল দায়িত্ব ভোক্তা স্বার্থ সংরক্ষণ থেকে সরে এসেছে। সরকার গ্যাস কোম্পানিগুলোর চুরি বন্ধ না করে, সেবার মান না বাড়িয়ে দাম বাড়ানো সহ নানা অনিয়মের প্রতিকার না করে বারবার দাম বাড়ানোটা জনস্বার্থ বিরোধী। তাই অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত বাতিল করা হোক।
বিবৃতিতে ক্যাব নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি ও বাজার নিয়ন্ত্রণ না করে জনগণের উপর বাড়তি মূল্যের চাপটি তুলে দিয়ে দুর্ভোগ বাড়াচ্ছে। অন্যদিকে সিএনজি বাস ও ট্যাক্সির ভাড়া পুনঃনির্ধারন করা হলেও মালিকরা তা মানছে না। এগুলো নিয়ন্ত্রণ না করে জনগণের উপর বাড়তি বোঝা তুলে দিলে সামগ্রিকভাবে সমাজে অস্থিরতা বাড়তে পারে।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসসিন সুলতানা পারু, দক্ষিণ জেলা সভাপতি আবদুল মান্নান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৭
আইএসএ/টিসি