বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের আব্দুল খালেক মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নির্যাতনের শিকার জেসমিন।
বোয়ালখালী উপজেলার চরণদ্বীপ ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল হালিমের বাড়িতে ২১ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ ঘটনা হয়েছে জানিয়ে জেসমিন জানান, আব্দুল হালিমের স্ত্রী মায়াজান বেগম (৬৫), দুই কন্যা জেসমীন (৩০) জয়নাব বিবি (৩৪) এবং নাতনী জুলেখা আক্তার (১৩) সহ স্থানীয় মহিলা মেম্বার হতে জায়গাটি ক্রয় করা হয়।
জায়গাটিতে কিছু গর্ত ছিল। অংশীদার হিসেবে জায়গাটিতে যাওয়ার আগে সেই গর্তগুলো পরিস্কার করছিল।
পরবর্তীতে স্থানীয় কাসেম, সৈয়দ রহমান ও আহম্মদ রহমান ওই স্থানে পুলিশ নিয়ে হাজির হয়ে কাজে বাঁধা দেয়। এসময় বোয়ালখালী থানা পুলিশের এস আই আরিফকে ক্রয়কৃত জায়গার দলিলপত্র দেখাতে চাইলেও এসআই আরিফ কোন কথা না শুনেই আমাদের উপর মারধর শুরু করেন। বারংবার তার সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি কোন কথা শুনতে রাজি হয়নি। এসময় এসআই আরও বলতে থাকে ‘মালম তোদের আগেও সর্তক করেছিল। কিন্তু তোরা শুনিস নি’। এছাড়াও নানা অসভ্য ভাষায় গালিগালাজ করে তিনি আমার আম্মুসহ পরিবারের সকল মারধর করতে থাকে।
পরবর্তীতে সহ্য করতে না পেরে আমরা বাড়ির ভিতরে ঢুকে পড়ি, ষেখানে গিয়েও পুলিশ আমাদের মারধর করতে থাকে। পরবর্তীতে আমার আম্মু মায়াজান বেগম (৬৫) নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এসময় এলাকাবাসীর মধ্যে বুলবুল আক্তার (৫০), মাসুদা বেগম (৫৫), হিরু আক্তার (২৫) ঘটনার শুরু হতে ছিল। পরবর্তীতে সন্ধ্যায় ওই এসআই আরিফ আবারও এ স্থানে এসে আমাদের খোঁজতে থাকে। সেই সময় আমরা হাসপাতালে থাকায় বেঁচে যাই।
তিনি আরও বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতনের বিচারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্থানীয় সংসদ সদস্য, আইজিপি, ডিআইজি ও এসপি এবং সাংবাদিক সমাজের প্রতি এ নির্যাতনের বিচার চাই।
বাংলাদেশ সময়: ২১২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৭
এসবি/টিসি