বড় ধরনের সংঘর্ষের আশংকায় নগর ভবনের ভেতরে ও আশপাশে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নগর ভবনের মূল ফটক আটকে সাংবাদিকদের প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে।
জানা গেছে, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এ এম মহিউদ্দিনের গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে চলছে এই উত্তেজনা ও সংঘাত। উভয়ই সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কর্ণফুলী নদীর ১৭টি ঘাটের টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছিল। এর মধ্যে ১৪ নম্বর ঘাটের ইজারা সংক্রান্ত টেন্ডার জমা দেয়া নিয়ে বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে মহিউদ্দিন ও মামুনের অনুসারী দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। বিকেল সাড়ে তিনটায় দুই পক্ষে এক দফা হাতাহাতি হয়। এ সময় নগর ভবনের ভেতরে ভাংচুরেরও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এরপর ঘণ্টাখানেক পরিস্থিতি থমথমে ছিল।
এরপর নগর ভবনের ভেতরে সন্ধ্যা ৬টার দিকে কয়েক দফা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় জড়ায় দুই পক্ষ। বাইরে রাস্তায় দুইপক্ষে গুলি বিনিময় হয়। এ সময় পৌনে এক ঘণ্টা আন্দরকিল্লা থেকে মোমিন রোডে যান চলাচল বন্ধ থাকে। পথচারী ও দোকানিদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
মূল ফটক আটকে দেয়ায় সাংবাদিকদের কেউই ভেতরে প্রবেশ করতে পারেনি। বাইরে থেকে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের গাড়ি নগর ভবনের ভেতরে দেখা যাচ্ছে।
তবে সাবেক যুবলীগ নেতা আব্দুল মান্নান ফেরদৌস বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, সিটি মেয়র নিজে অফিসেই অবস্থান করছেন। সংঘর্ষে কারা জড়িত তা শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। মেয়র বলেছেন, যারা হামলার সঙ্গে জড়িত তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।
জানতে চাইলে সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, সকালে শান্তিপূর্ণভাবে টেন্ডার জমা হয়েছে। সবার সামনেই কত জন টেন্ডার জমা দিয়েছেন তা জানিয়েছি। বিকেলে এসে হাতাহাতি হয়। এ ঘটনা টেন্ডারের সাথে সম্পর্কিত নয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৭
এআর/টিসি