ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নগর ভবনে টেন্ডার নিয়ে সংঘাত, পুলিশ মোতায়েন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৭
নগর ভবনে টেন্ডার নিয়ে সংঘাত, পুলিশ মোতায়েন নগর ভবনে সংঘর্ষ-গোলাগুলি (ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম)

চট্টগ্রাম: কর্ণফুলী ঘাটের ইজারা নিয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মূল ভবনে (নগর ভবন) দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলি বিনিময় হয়েছে।  বর্তমানে নগর ভবনের ভেতরে অবস্থান নিয়ে মাঝে মাঝে সংঘাতে জড়াচ্ছে বিবদমান দুটি গ্রুপ।  সংঘাতে অশোক দেব লিটন, আসিফ ও অভি নামে তিনজনসহ মোট পাঁচজন আহতের খবর পাওয়া গেছে।  

বড় ধরনের সংঘর্ষের আশংকায় নগর ভবনের ভেতরে ও আশপাশে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।   নগর ভবনের মূল ফটক আটকে সাংবাদিকদের প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে।

 

জানা গেছে, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এ এম মহিউদ্দিনের গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে চলছে এই উত্তেজনা ও সংঘাত।   উভয়ই সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

নগর ভবনে সংঘাতের জের ধরে মোমিন রোডে গুলিবিদ্ধ একজন 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কর্ণফুলী নদীর ১৭টি ঘাটের টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছিল। এর মধ্যে ১৪ নম্বর ঘাটের ইজারা সংক্রান্ত টেন্ডার জমা দেয়া নিয়ে বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে মহিউদ্দিন ও মামুনের অনুসারী দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। বিকেল সাড়ে তিনটায় দুই পক্ষে এক দফা হাতাহাতি হয়।   এ সময় নগর ভবনের ভেতরে ভাংচুরেরও অভিযোগ পাওয়া গেছে।  এরপর ঘণ্টাখানেক পরিস্থিতি থমথমে ছিল। সংঘর্ষের পর পর নগর ভবনের সামনে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়

এরপর নগর ভবনের ভেতরে সন্ধ্যা ৬টার দিকে কয়েক দফা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় জড়ায় দুই পক্ষ। বাইরে রাস্তায় দুইপক্ষে গুলি বিনিময় হয়। এ সময় পৌনে এক ঘণ্টা আন্দরকিল্লা থেকে মোমিন রোডে যান চলাচল বন্ধ থাকে। পথচারী ও দোকানিদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

মূল ফটক আটকে দেয়ায় সাংবাদিকদের কেউই ভেতরে প্রবেশ করতে পারেনি। বাইরে থেকে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের গাড়ি নগর ভবনের ভেতরে দেখা যাচ্ছে।  দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত একজন

তবে সাবেক যুবলীগ নেতা আব্দুল মান্নান ফেরদৌস বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, সিটি মেয়র নিজে অফিসেই অবস্থান করছেন। সংঘর্ষে কারা জড়িত তা শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। মেয়র বলেছেন, যারা হামলার সঙ্গে জড়িত তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।

জানতে চাইলে সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, সকালে শান্তিপূর্ণভাবে টেন্ডার জমা হয়েছে। সবার সামনেই কত জন টেন্ডার জমা দিয়েছেন তা জানিয়েছি। বিকেলে এসে হাতাহাতি হয়। এ ঘটনা টেন্ডারের সাথে সম্পর্কিত নয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৭

এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।