ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

এমপি হওয়ার আশায় লিটনকে খুন করায় কাদের খান

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৭
এমপি হওয়ার আশায় লিটনকে খুন করায় কাদের খান পুলিশ মহাপরিদর্শকের প্রেস ব্রিফিং (ছবি: সোহেল সরওয়ার, বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম)

চট্টগ্রাম: আওয়ামী লীগের সাংসদ মনজুরুল ইসলাম লিটন খুনের মূল পরিকল্পনাকারী জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল আবদুল কাদের খান বলে জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহীদুল হক।  

বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের আইজিপি বলেছেন, সাবেক এমপি আবদুল কাদের খান খুনের মূল পরিকল্পনাকারী।   তার ইচ্ছা ছিল লিটনকে যদি সরিয়ে দেয়া যায়, তাহলে তার পথ পরিস্কার হবে এবং পরবর্তীতে এমপি হতে পারবে।

 

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল কাদের খানকে মঙ্গলবার তার বগুড়ার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।   বুধবার তাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়।

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল ডা. কাদের খানের বাড়ি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ছাপড়হাটি ইউনিয়নের পশ্চিম ছাপড়হাটি খানপাড়া গ্রামে।  ২০০৮ সালে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে তিনি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন।

২০১৪ সালে নির্বাচিনত গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য লিটনকে গত ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের উত্তর শাহাবাজ গ্রামে তার বাড়িতে গুলি করে হত‌্যা করা হয়।

দেড় মাসের তদন্তে খুনি ও খুনের পরিকল্পনাকারীকে শনাক্তের কথা জানিয়ে আইজিপি বলেন, বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই, আমরা যাদের শনাক্ত করেছি তারাই খুন করেছে এবং খুনের পরিকল্পনা করেছে।  

‘তিনজন কিলার মোটর সাইকেলে করে তার (লিটনের) বাড়িতে গেছে।   গুলি করে তাকে।   সে মোটর সাইকেল আবার উদ্ধার হয়েছে এবং তিনজন কিলারকে আমরা গ্রেফতার করেছি।   দুইজন গতকাল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।   আরেকজন গ্রেফতার হয়েছে, তাকেও আমরা জবানবন্দি নেয়ার জন্য পাঠাব। ’

‘কর্ণেল কাদের সাহেবকে গ্রেফতার করেছি, তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করব।   তদন্তে পাওয়া তথ্যের ব্যাপারে আমাদের বিন্দুমাত্র কোন সংশয় নেই।   পুরো বিষয়টি উদঘাটন করা হয়েছে। ’

খুনের পর জামায়াতকে দায়ী করা হয়েছিল কেন, জানতে চাইলে তিনি বলেণ, সুন্দরগঞ্জে ‍জামায়াত ২০১৩ সালে ৪ জন পুলিশকে হত্যা করেছিল।  সেসময় গাইবান্ধায় যারা নাশকতা করেছে, হত্যাকান্ড করেছে তাদের সবাই জামায়াতের।   জামায়াতকে সন্দেহ করাটা স্বাভাবিক ব্যাপার।  

‘খুনের পর অনেককেই সন্দেহ করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশ একেবারে শতভাগ পেশাদারিত্ব নিয়ে একেবারে নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করেছে এবং ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে। ’ বলেন আইজিপি

বুধবার বিকেলে নগরীর দামপাড়া পুলিশ লাইন মাঠে ‍বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুলিশ সমাবেশে যোগ দিতে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন আইজিপি।  এসময় সিএমপি কমিশনার ইকবাল বাহারও তার সঙ্গে ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৭

আরডিজি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।