ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘রায়টা হয়েছে, ক্ষতিটা পূরণ হবে কিভাবে ?’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৭
‘রায়টা হয়েছে, ক্ষতিটা পূরণ হবে কিভাবে ?’ চিত্রশিল্পী দিলারা বেগম জলি। ছবি: সোহেল সরওয়ার-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: বাসচালকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়েছে বলে মনে করেন চিত্রশিল্পী দিলারা বেগম জলি।  তবে তারেক মাসুদ-মিশুক মুনীরদের হারানোর ক্ষতি আর পূরণ হবার নয় বলে মনে করেন সেদিন সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হওয়া জলি।

রায় ঘোষণার পর দেয়া প্রতিক্রিয়ায় জলি বাংলানিউজকে বলেন, প্রত্যাশা অনুযায়ী রায়টা হয়েছে, কিন্তু যে ক্ষতিটা হয়েছে সেটা পূরণ হবে কিভাবে ?’

২০১১ সালের ১৩ অগাস্ট মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার জোকা এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে বাসের সঙ্গে সংঘর্ষে মাইক্রোবাস আরোহী চলচ্চিত্র পরিচালক তারেক মাসুদ ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব মিশুক মুনীরসহ পাঁচজন ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

একই সড়ক দুর্ঘটনায় আহত চিত্রশিল্পী ঢালী আল মামুনের স্ত্রী জলি।

  দুর্ঘটনায় আহত হয়ে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসেন মামুন।   এছাড়া জলির সঙ্গে আহত হয়েছিলেন তারেকের স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদ এবং প্রোডাকশন ইউনিটের সহকারী সাইদুল ইসলামও।
চিত্রশিল্পী দিলারা বেগম জলি

এই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় বাসচালক জামিরকে ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৩০৪ ধারায় বেপরোয়া চালনার কারণে অবহেলাজনিত মৃত‌্যুর জন‌্য (পরিকল্পিত নরহত্যা নয়) দোষী সাব‌্যস্ত করে সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আল-মাহমুদ ফায়জুল কবীর।

জলি বলেন, আমার প্রত্যাশা থাকবে, যেজন্য রায়টা হয়েছে, সেটা (দুর্ঘটনা) যেন কমে। কারণ একজনের ফাঁসি হবে, একজনের যাবজ্জীবন হবে, সেটা তো আর শেষ হয়ে যাবে না।  

‘যিনি গাড়ি চালান তিনি যদি সাবধান না হন, পথিকরা যদি সাবধান না হন, গাড়িতে যারা বসে থাকে তারা যদি সাবধান না হন, তাহলে এর সমাধান তো হবে না।   সকলের প্রচেষ্টায় এই ধরনের দুর্ঘটনা যাতে আর না হয়, এটাই আমার প্রত্যাশা। ’

অল্প সময়ের মধ্যে বিচার শেষ হওয়ায় আদালতকে ধন্যবাদ জানান জলি।  

তিনি বলেন, তারা (নিহতরা) শান্তি পাবে, তাদের আত্মীয়স্বজন শান্তি পাবে।   কিন্তু দেশে যে ক্ষতি হয়েছে, বিশেষ করে বলব তরুণ সমাজ যারা ওদের কাছ থেকে কিছু পেত, তারা আর কিছু পাবে না।   সেই ক্ষতিপূরণ হয়তো বা পোষাবে না, কিন্তু আমি খুশি যে অন্যায়ের বিচার হয়েছে।

জলি বলেন, তারেক-মিশুক আমাদের অনেকদিনের বন্ধু ছিল।  আমরা যারা শিল্পসাহিত্যের সাথে আছি, ওরা ছবি করত, আমি ছবি আঁকি, অন্যরা গান করে, কেউ সাহিত্য করে, এইসব মিলেই তো শিল্প।   এই শিল্পের পদচারণায় আমরা সবাই অনেকদিনের সঙ্গী ছিলাম।   সেই সঙ্গী হারানোর বেদনা যে কতটা, এটা বোঝাতে পারব না।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৭

আরডিজি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।