সুকান্ত ভট্রাচার্য বলেন, দেশের শহীদ মিনারের স্তম্ভগুলো মা ও সন্তানের প্রতীক। অর্ধবৃত্তাকারে মা তার শহীদ সন্তানদের নিয়ে দন্ডায়মান।
এই অর্থকে ধারণ করেই বাংলাদেশের শহীদ মিনারগুলো। কিন্তু দেশের এসব শহীদ মিনারের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের মিল নেই। কি মিন করছে সেটারও উল্লেখ নেই এখানে’ যোগ করেন-সুকান্ত ভট্রাচার্য।
বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর ষাটের দশকে তিনটি স্তম্ভের আদলে একটি শহীদ মিনার তৈরি করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে প্রাকৃতির দুযোর্গে সেটি ভেঙে যায়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের সাবেক অধ্যাপক ও ভাস্কর এবং সম্প্রতি একুশে পদক পাওয়া সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালিদ বিম্ববিদ্যালয় শহীদ মিনারের নকশা করার। তাঁর সহযোগী হিসেবে ছিলেন তৎকালীন চারুকলা ইনস্টিটিউটের সাবেক অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম। নব্বইয়ের দশকে আব্দুল্লাহ খালিদের নির্দেশনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমানের শহীদ মিনারটি নির্মিত হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড.ইমরান হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, শহীদ মিনার কিরকম হবে সেরকম কোনো কাঠামো নেই। একজন শিল্পী আসলে বিষয়টিকে কীভাবে দেখছেন সেটার উপর নির্ভর করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারটি কোনো কিছু বহন করছে না সে কথাটা কিন্তু ঠিক না।
শহীদ মিনারের আকৃতির ব্যাপারে জানতে চাইলে চারুকলা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড.মো.ফয়েজুল আজিম বাংলানিউজকে বলেন, কেউ যদি হয়নি দাবি করে তাহলে সেটি কীভাবে হবে এবং কেনো হয়নি সেটারও উল্লেখ করতে হবে। একজন শিল্পীর মনে হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ মিনারের আকৃতিটি এরকম হবে তাই সেই আলোকে সেটির ডিজাইন করেছে।
এ ব্যাপারে সম্প্রতি একুশে পদক পাওয়া ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারটির ডিজাইনার সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালিদ বাংলানিউজকে বলেন, সব শহীদ মিনার যে একইরকম হবে তা কিন্তু ঠিক না। একেকটা একেক রকম হতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ মিনার অবশ্যই ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগের বিষয়টিকে মিন করেই তৈরি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়:১৯৪৩ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৭
জেইউ/টিসি