মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) জামালখানের ডা. খাস্তগীর স্কুলের দেয়ালে ইতিহাস-নির্ভর ম্যুরাল উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম বাণিজ্যিক রাজধানী, বন্দর নগরী।
পরিকল্পিত নগরী হিসেবে চট্টগ্রামকে গড়ে তুলবেন জানিয়ে মেয়র বলেন, আমি সত্যিকার অর্থে গ্রিন ও ক্লিন সিটি উপহার দেব। এখন জনগণকে সচেতন ও দায়িত্ববান করতে চেষ্টা করছি। এপ্রিলের মধ্যে তিন-চারটি কাজকে অগ্রাধিকারভিত্তিতে করবো। এর মধ্যে ফুটপাত পথচারীদের জন্য উন্মুক্ত করা অন্যতম। এখন ফুটপাতগুলো বেদখল হয়ে গেছে। পথচারীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা দিয়ে পথ চলেন। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ফুটপাতে হকাররা বসতে পারবে না।
তিনি বলেন, বিদ্যুতের খুঁটিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তারগুলো এমনভাবে রাখা হচ্ছে বিশ্রী লাগে। তাদের এসব সরিয়ে নিতে হবে। যত্রতত্র পোস্টার-ব্যানার লাগানো বা টাঙানো যাবে না। ধুলোবালি সবচেয়ে বড় সমস্যা এখন। ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক নির্মাণসামগ্রী উন্মুক্ত স্থানে রাখা যাবে না। ঢেকে রাখতে হবে। পরিবহনের সময়ও ঢেকে নিয়ে যেতে হবে। ইপিজেড-বিমানবন্দর এলাকায় যানজট নিরসনে ইউলুপ করা হবে।
দৈনিক আজাদী সম্পাদক এমএ মালেক বলেন, ঘুমিয়ে দেখা স্বপ্ন স্বপ্ন নয়। শৈবাল দাশ সুমন স্বপ্ন বাস্তবায়নে চেষ্টা করে। সুমনের বাবা-মাকে ধন্যবাদ তার নামটি সুন্দর রাখার জন্য। এ ম্যুরালের সঙ্গে আমার ছেলে ওয়াহিদ জড়িত ছিল।
তিনি বলেন, মেয়র চেষ্টা করছেন সুন্দর নগরী গড়তে। আমরা সব সময় পাশে থাকব।
জেলা প্রশাসক মো. সামসুল আরেফিন বলেন, খাস্তগীর স্কুলের দেয়ালে অত্যন্ত সুন্দরভাবে ইতিহাস ফুটে উঠেছে। এটি এলাকার ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক, পথচারী ও অতিথিদের ইতিহাস জানতে উদ্বুদ্ধ করবে। সবার মধ্যে দেশপ্রেম গড়ে উঠবে। তরুণ সমাজ আত্মপোলব্ধি করতে সক্ষম হবে।
কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লবের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্যে শৈবাল দাশ সুমন বলেন, ২০১৭ সালে জামালখান দেখতে আসবে বাংলাদেশ এ প্রতিশ্রুতি দিয়ে কাজ শুরু করি। দৈনিক আজাদীর অর্থায়নে এ ম্যুরাল তৈরি হয়েছে। আমি দেখেছি স্কুল কলেজের দেয়ালগুলো পোস্টার-লিফলেটে ছেয়ে গেছে। এমনকি সিনেমার পোস্টার পর্যন্ত দেখেছি। বাঙালির ইতিহাস, ঐতিহ্য, কৃষ্টি, গৌরবগাথা তুলে ধরতেই এ ম্যুরাল তৈরির উদ্যোগ। এ ম্যুরাল আমাদের তরুণ প্রজন্মকে পথ দেখাবে। তাদের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার হাতছানি থেকে দূরে রাখবে। এটি আমার বিশ্বাস।
মেয়র ফলক উন্মোচন করে ম্যুরালের উদ্বোধন করেন। ম্যুরালে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। ম্যুরাল তৈরি ও স্থাপনায় ছিলেন ভাস্কর প্রণব সরকার ও অরবিস আরকিটেকচারাল কনসালটেন্টের স্থপতি আইনুল ইসলাম শাওন।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিন, মো. জাবেদ, আবিদা আজাদ, আনজুমান আরা, সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা নাজিয়া শিরিন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৭
এআর/টিসি