অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আলী আব্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খ্যাতিমান ভাষা-গবেষক ড. মাহবুবুল হক, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব সভাপতি কলিম সরওয়ার।
জেলা প্রশাসক বলেন, ‘এখন সবার কাছে ফেসবুক আছে।
তিনি বাঙালির ইতিহাস-ঐতিহ্য-গৌরবগাথা তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়ে দেশপ্রেমী নাগরিক হিসেবে তাদের গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
ড. মাহবুবুল হক বলেন, ভাষা আন্দোলন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে। অন্তর্জালে (ইন্টারনেট) এখন বাংলাভাষা ছড়িয়ে পড়ছে। কিন্তু আমাদের বিজ্ঞপ্তিফলকে (সাইনবোর্ড) বাংলা উপেক্ষিত। অনেকেই বাংলা ব্যবহার করছেন না। বিশ্বায়নের প্রভাবে প্রভাবিত হচ্ছি। এ ব্যাপারে আমরা জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছিলাম। কারণ সব দেশে নিজের ভাষাকে গুরুত্ব দেওয়া হয় বিজ্ঞপ্তিফলকে।
তিনি বলেন, রক্ত দিয়ে কেনা এ ভাষা। কিন্তু যখন বিয়ের আমন্ত্রণপত্র ইংরেজিতে লেখা হয় তখন দুঃখ লাগে। এ জায়গা থেকে সরে আসতে হবে।
কলিম সরওয়ার বলেন, সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন চট্টগ্রাম শহরের সব সাইনবোর্ড বাংলায় লেখার এবং প্রয়োজনে বাংলার পাশাপাশি ছোট করে ইংরেজিতে লেখার অনুরোধ জানিয়েছেন। জেলা প্রশাসক চাইলে পুরো চট্টগ্রাম জেলার সাইনবোর্ড বাংলায় লেখার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারেন।
যুগ্ম সম্পাদক লতিফা আনসারী রুনার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন কবি অভীক ওসমান ও কবি-সাংবাদিক নাজিমুদ্দীন শ্যামল।
স্বাগত বক্তব্য দেন অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শাহনেওয়াজ রিটন। জেলা প্রশাসকের হাতে অ্যাসোসিয়েশনের স্মারক তুলে দেন অর্থ সম্পাদক মো. ফরিদ। ড. মাহবুবুল হককে স্মারক তুলে দেন প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক তাজুল ইসলাম।
একুশের প্রথম কবিতা ‘কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি’ আবৃত্তি করেন রাশেদ হাসান। এ ছাড়া বৃন্দ আবৃত্তি করেন প্রমার সদস্যরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৭
এআর/টিসি