এ সময় বেকারির কর্মচারী ও ম্যানেজার পেছনের দরজা দিয়ে ভোঁ-দৌড় দিয়ে পালিয়ে যান। পরে মালিক এসে অপরাধ স্বীকার করলে ম্যাজিস্ট্রেট ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও বেকারি সিলগালা করে দেন।
জানতে চাইলে মো. রুহুল আমিন বাংলানিউজকে বলেন, অত্যন্ত নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বেকারিতে খাদ্যসামগ্রী তৈরি হতে দেখি আমরা। স্বাস্থ্যকর ফুড কালারের দাম বেশি হওয়ায় ওই বেকারিতে নিম্নমানের টেক্সটাইল কালার দেওয়া হচ্ছিল খাবার তৈরিতে।
তিনি বলেন, এখানেই শেষ নয়। কয়েকমাস আগের পুরোনো চিনির রস ব্যবহার করা হয় খাদ্যপণ্যে, ওই রস দেখলে মনে হবে আলকাতরা। বেকারিজুড়ে পামঅয়েল, ডালডা, ময়দার খামির নোংরা পরিবেশে হ-য-ব-র-ল অবস্থায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। তৈরি পণ্যের গায়ে যেমন মেয়াদ নেই, তেমনি বিএসটিআইয়ের লাইসেন্সও নেই। পাওয়া গেছে অনুমোদনহীন পলিথিন ব্যাগও।
বেকারিটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, স্বাস্থ্যসম্মতভাবে বেকারি সংস্কার করে বিএসটিআইয়ের লাইসেন্স নিয়ে পুনরায় চালুর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
একই অভিযানে বাড়বকুণ্ড বাজারে ডিজিটাল পরিমাপক যন্ত্র ঠিক না থাকা, বাটখারার ওজনে কারচুপি, বিএসটিআইয়ের সিল না থাকায় ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়। এ সময় তিনজনকে ৫০০ টাকা করে জরিমানা করা হয়।
মো. রুহুল আমিন জানান, মা মেডিকেল ড্রাগস নামের একটি ফার্মেসিতে অভিযানকালে ড্রাগ লাইসেন্স দেখাতে বললে তারা তা দেখাতে পারেনি। লাইসেন্স কোথায় আছে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, হাজারি গলির কমলকে দিয়েছি নবায়নের জন্য। তাকে এক সপ্তাহের সময় বেঁধে দেন লাইসেন্স প্রদর্শনের জন্য। অভিযানকালে আশপাশের সব ফার্মেসি বন্ধ হয়ে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৭
এআর/টিসি