২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি একুশ উৎসব পালনের ঘোষণা দিয়ে এতে টেলিভিশনের অভিনেতা, চলচ্চিত্র নায়কদের অতিথি করার কথা উল্লেখ করে নগরীতে সাঁটানো হয়েছিল পোস্টার।
এই আয়োজনকে একুশের চেতনার বিরোধী উল্লেখ করে প্রতিরোধের ডাক দেয় নগর ছাত্রলীগ।
উৎসব বাতিলের বিষয়ে বক্তব্য জানতে সানাউল্লাহকে ফোন করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।
তবে কোতয়ালি থানার ওসি মো.জসিম উদ্দিন বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, ছাত্রলীগের প্রতিরোধের ঘোষণার কথা উল্লেখ করে উৎসব বাতিলের বিষয়ে একুশে উৎসব পরিষদের একটি চিঠি তিনি পেয়েছেন।
লালদীঘির মাঠে ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনদিনের একুশ উৎসব করার জন্য ইতোমধ্যে সরকারী মুসলিম হাইস্কুল থেকে অনুমোদনও নেন সানাউল্লাহ। এরপর সিএমপি কমিশনার মো.ইকবাল বাহারকে উৎসবে অতিথি করার আমন্ত্রণ করে সম্মতি পেতে ব্যর্থ হয়।
একুশ নিয়ে উৎসব আয়োজনের বিষয়টি বিষয়টি নজরে আসার পর নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু এবং সাধারণ সম্পাদক নূরুল আজিম রণিসহ শীর্ষ নেতারা বৈঠকে বসে সেটি প্রতিরোধের সিদ্ধান্ত নেন।
গত বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) নগর ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন টিটু ‘একুশের চেতনা বিরোধী অনুষ্ঠান’ বন্ধের অনুরোধ জানিয়ে নগর পুলিশের উপ কমিশনার (বিশেষ শাখা) বরাবরে একটি চিঠি দেন।
পুলিশ এই আয়োজন বন্ধ না করলে একই সময়ে ছাত্রলীগ লালদীঘির মাঠে পাল্টা কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৭
আরডিজি/টিসি