ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

হাতির জন্য ‘কলাবাগান’

তাসনীম হাসান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৭
হাতির জন্য ‘কলাবাগান’ হাতির জন্য ‘কলাবাগান’

চট্টগ্রাম: প্রায় সময়ই চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় বন্যহাতির আক্রমণে প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। সঙ্গে হাতির উপদ্রবে ফসলি জমিরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। খাদ্য সংকটের কারণে অভয়ারণ্য ছেড়ে হাতি লোকালয়ে নেমে পড়ছে।

এমন পরিস্থিতিতে বন্যহাতীপ্রবণ পাহাড়ি এলাকাগুলোতে হাতির খাদ্যের জন্য কলাবাগান সৃজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন। এর ফলে পর্যাপ্ত খাদ্য পেয়ে হাতি লোকালয় থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে একটি পত্র পাঠানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. সামসুল আরেফিন।

রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত চলতি মাসের জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় বন্যহাতির উপদ্রব রোধের বিষয়ে কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চান জেলা প্রশাসক মো. সামসুল আরেফিন।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান।

এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় কয়েকজন জনপ্রতিনিধির বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বন্যহাতির খাদ্যের জন্য কলাবাগান সৃজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সেই সভায় পটিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ চৌধুরী বলেছিলেন, ‘বন্যহাতির উপদ্রবে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা বিশেষ করে পটিয়া, সাতকানিয়া ও বাঁশখালীতে জনগণের জানমালের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। অথচ এ বিষয়ে প্রতিরোধমূলক কোন কার্যকর উদ্যোগ নেই। কোনো হাতিশুমারিও নেই। আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে কত বর্গকিলোমিটারে কতটা হাতি থাকতে পারে এ ব্যাপারে একটি সঠিক পরিসংখ্যান থাকা দরকার। হাতির জন্য একটি নির্দিষ্ট অভয়ারণ্য এলাকা ঘোষণাপূর্বক সেখানে প্রয়োজনীয় খাদ্যভাণ্ডার সৃষ্টি করা প্রয়োজন। এছাড়া হাতির কবল থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে না। ’

একই সভায় রাঙ্গুনিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আলী শাহ বলেছিলেন, রাজস্থলী থেকে রাঙ্গুনিয়ার বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় যে জঙ্গল ও হাতির খাদ্য থাকার কথা-তা না থাকায় বন্যহাতিগুলো লোকালয়ে এসে পড়ে। তাই যে সমস্ত এলাকায় হাতির বিচরণ বেশি সেখানে বেশি করে কলাবাগানের মতো হাতির খাদ্যের বাগান সৃজন করা দরকার।

এসময় জেলা প্রশাসক মো. সামসুল আরেফিন এই দুই জনপ্রতিনিধির বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করে বলেছিলেন, হাতির খাদ্য সংকটের কারণে বিষয়টি ঘটছে।

এরপর তিনি সভায় উপস্থিত বনবিভাগের কর্মকর্তাদের কাছে এ বিষয়ে জানতে চান। তারা হাতির খাদ্যের জন্য কলাবাগান সৃজনের মতো প্রকল্প হাতে নেওয়ার কথা জানান। পরে জেলা প্রশাসক বন্যহাতির আক্রমণ থেকে জনগণকে রক্ষাকল্পে হাতির নির্দিষ্ট অভয়ারণ্য এলাকা ও নির্দিষ্ট খাদ্য এলাকা সৃজনের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশ দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৭

টিএইচ/আইএসএ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad