মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. মাঈনুদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, হাটহাজারীর ইউএনও আফছানা বিলকিস পদাধিকার বলে যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য সচিব। গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকেও তিনি যাচাই-বাছাই কার্যক্রমে সঠিকভাবে দায়িত্বপালন দূরে থাক উল্টো অসহযোগিতা করছেন।
‘৪৫ বছর পর কীসের যাচাই-বাছাই।
তিনি বলেন, আমরা জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডকে ইউএনওর ন্যক্কারজনক ভূমিকা সম্পর্কে জানিয়েছি। শিগগির যদি তাকে প্রত্যাহার করা না হয় আমরা সংবাদ সম্মেলন করে তাকে হাটহাজারীতে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করবো।
হাটহাজারী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির পক্ষ থেকে ইউএনও’র বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছেন জানিয়ে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মো. সাহাবউদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক। ইউএনও অসুস্থতার ভান করে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির কাজে অসহযোগিতা করেছেন শুধু তাই নয়, তার ভূমিকা নিন্দনীয়। তিনি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন। সব কিছু শুনে মনে হলো ইউএনও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী নন। তাকে অবিলম্বে প্রত্যাহার করার জন্য জেলা প্রশাসককে জানিয়েছি। নয়তো স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবেন।
মুক্তিযোদ্ধাদের অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে ইউএনও আফছানা বিলকিস বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমি ওই দিন অসুস্থ ছিলাম। আমার স্টাফ সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই কমিটির সভার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনা করতে পারেনি। তাই ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আশাকরি, সঠিক সময়ে সঠিকভাবে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৭
এআর/আইএসএ/টিসি