ওই প্রস্তাব নিয়ে রোববার সকালে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানসহ শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন মোছলেম উদ্দিন। এতে সবাই একমত হন।
জানতে চাইলে মোছলেম উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, ভেন্যু হিসেবে আনিকা কমিউনিটি সেন্টার খুব ছোট। তারপরও সময় যেহেতু নেই, আমরা সেখানে সম্মেলন করার প্রস্তাবে একমত হয়েছি।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দক্ষিণ জেলা মহিলা লীগের দিনব্যাপী সম্মেলনে প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মহিলা বিষয়ক সম্পাদক বেগম ফজিলাতুন্নেছা ইন্দিরা। সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি বেগম সাফিয়া খাতুন।
দুই দশক পর হতে যাওয়া সম্মেলনের ভেন্যু নিয়ে মহিলা লীগের একাংশের সঙ্গে সম্প্রতি বিরোধ তৈরি হয় মোছলেম উদ্দিনের।
দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ নেতাকর্মীদের একাংশ শাহ আমানত সেতুর দক্ষিণ প্রান্তে কর্ণফুলী থানা এলাকায় সম্মেলন করতে আগ্রহী ছিলেন। আর মোছলেম উদ্দিন চেয়েছিলেন নগরীতে সম্মেলন করতে।
মোছলেমের যুক্তি ছিল, জেলা হেডকোয়ার্টার হিসেবে নগরীতে সম্মেলন করতে হবে। উপজেলায় গিয়ে সম্মেলন করলে সেটা উপজেলা সম্মেলন হবে।
বিরোধীদের যুক্তি ছিল, কর্ণফুলী এলাকায় সম্মেলন করলে দক্ষিণ জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা নেতাকর্মীদের সুবিধা হবে।
প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আতাউর রহমান খান কায়সারের মেয়ে সংসদ সদস্য ওয়াসিকা আয়শা খান, প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল্লাহ আল হারুনের মেয়ে শামীমা হারুন লুবনা, দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের পরিচিত মুখ দীপিকা বড়ুয়া, ববিতা বড়ুয়া, অ্যাডভোকেট পাপড়ি সুলতানা ও জীবন আরাসহ একটি অংশ আছে মোছলেম উদ্দিনের সঙ্গে।
আর দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সাংসদ হাসিনা মান্নান, চেমন আরা তৈয়বসহ আরেকটি অংশ সাম্প্রতিক রাজনীতিতে মোছলেম উদ্দিনের বিরোধী হিসেবে আছেন। তারা ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের সমর্থন পাচ্ছেন বলে প্রচার আছে। কর্ণফুলী থানা সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের নির্বাচনী এলাকা।
দক্ষিণ চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে মোছলেম এবং জাবেদের নেতৃত্বে পরস্পরবিরোধী দুটি গ্রুপ সক্রিয়।
১৯৯৮ সালে দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৭
আরডিজি/টিসি