ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

১০ টাকায় পেঁয়াজ খাতুনগঞ্জে

আল রাহমান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৭
১০ টাকায় পেঁয়াজ খাতুনগঞ্জে মাত্র ১০ টাকায় প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে দেশের বৃহত্তম ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের আড়তে

চট্টগ্রাম: মাত্র ১০ টাকায় প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে দেশের বৃহত্তম ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের আড়তে। মেহেরপুর থেকে আসা এ পেঁয়াজ লাগাম টেনে ধরেছে বাজারের। ফলে স্বস্তিতে ভোক্তারা। কিন্তু বিক্রেতাদের মুখ বেজার।

রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) খাতুনগঞ্জের আড়তে মেহেরপুরের দেশি পেঁয়াজের পাশাপাশি প্রতিযোগিতায় ছিল ভারত থেকে আমদানি করা নাসিক পেঁয়াজ। বেশ ভালো মানের এসব পেঁয়াজ আকার ভেদে বিক্রি হয়েছে সর্বনিম্ন ১৪ টাকা, সর্বোচ্চ সাড়ে ১৫ টাকা।

পাইকারি দামের সঙ্গে তিন-চার টাকা যোগ করেই খুচরা বাজারের দাম নির্ধারণ করা হয়। যদিও পাইকারিতে দাম কমলে খুচরায় তার প্রভাব পড়তে বেশ কয়েকদিন সময়ক্ষেপণ করেন দোকানিরা।

বর্তমানে নগরীর খুচরা বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা।

সৌমিক ট্রেডাসের জসিম উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, পেঁয়াজের দাম এত বেশি পড়ে গেছে যে আমদানিকারক, বেপারি সবাই লোকসান দিচ্ছেন। সীমান্তের স্থলবন্দর থেকে এখানে ২০ টন পেঁয়াজ আনতে ট্রাকভাড়া পড়ছে প্রায় ৪০ হাজার টাকা। অর্থ্যাৎ কেজিপ্রতি নেট গাড়িভাড়াই দুই টাকা। এরপর ‘পথ খরচ’, এই খরচ, সেই খরচ তো আছেই। বেপারিরা বাজার ধরে রাখার জন্যই এখনো পেঁয়াজ নিয়ে আসছেন। এভাবে পুঁজি হারাতে থাকলে তারা হয়তো ব্যবসাই ছেড়ে দেবেন।    

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন আড়তদার বাংলানিউজকে বলেন, বাংলাদেশ যাতে পেঁয়াজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে না পারে সেজন্যই হয়তো পেঁয়াজের মৌসুমে চাষিদের সুরক্ষায় কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয় না। রমজানে যখন পেঁয়াজের চাহিদা বাড়ে তখন রপ্তানিকারক দেশগুলো পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দেয়। এখন যেহেতু বাংলাদেশি পেঁয়াজ বাজারে আসছে তাই এখন সীমান্তে পেঁয়াজ আমদানি নিরুৎসাহিত করা যেত। তাহলে চাষিরা কিছু টাকা পেত। এখন চাষি, আড়তদার সবার ‘মিঠার লাভ পিঁপড়া খাচ্ছে। ’  

খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের বড় বিপণিকেন্দ্র হামিদউল্লাহ মিয়া মার্কেট। এ মার্কেটের ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস বাংলানিউজকে বলেন, চট্টগ্রামের বাজারে উন্নতমানের পেঁয়াজের চাহিদাই বেশি। স্বাভাবিকভাবে ভারত থেকে আমদানি করা ভালোমানের পেঁয়াজই এখানে বেশি চলে। মুড়িকাটা পেঁয়াজের চাহিদা এখানে নেই। কয়েকদিন ধরে মেহেরপুরের পেঁয়াজ আসছে খাতুনগঞ্জে। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১০ টাকা। ভারতের নাসিক পেঁয়াজ ১৪-১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতিকেজি চীনা রসুন ১৮০ টাকা এবং চীনা আদা ৫০-৫২ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামের পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণ করেন সীমান্তবর্তী স্থলবন্দর কেন্দ্রিক ব্যবসায়ী ও ব্যাপারিরা। তারা ট্রাকে করে আড়তে পেঁয়াজ পাঠিয়ে দেন। আড়তদার ব্যাপারির কাছ থেকে কেজি প্রতি ৪০-৫০ পয়সা এবং পাইকারি ক্রেতার কাছ থেকে ৩০ পয়সা কমিশন পায়। এ ছাড়া শ্রমিকরা বস্তাপ্রতি ১০ টাকা মজুরি পান।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৭

এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।