প্রতি-উত্তরে সভায় উপস্থিত কয়েকজন উপজেলা চেয়ারম্যান কাঠবিড়ালীর কারণে নারকেল নষ্ট হওয়ার কথা বলেন। পরে কাঠবিড়ালী প্রতিরোধ নিয়ে হয় এক ‘প্রস্থ’ আলোচনা।
জেলা প্রশাসক মো. সামসুল আরেফিনের সভাপতিত্বে রোববার সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এই সভায় বিভিন্ন উপজেলার চেয়ারম্যান সহ বিভিন্ন পর্ষদের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় উপস্থিত কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আমিনুল হক চৌধুরী বলেন, ‘ভিয়েতনাম থেকে উন্নত ও খাটো (ওপেন পলিনেটেড-ওপি) জাতের নারিকেল গাছ আমদানি করেছে সরকার।
এ সময় পটিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘শুধু নারকেল গাছ লাগাতে বললে হবে না। আমাদের দেশে অধিকাংশ নারকেল ডাব থাকতেই কাঠবিড়ালী নষ্ট করে ফেলছে। শুধু নারকেল না, আমার এলাকায় কৃষি অধিদপ্তরের পক্ষে বিভিন্ন উন্নত প্রজাতির পেয়ারা, পেপেসহ নানা ফল উৎপাদন করছে। কিন্তু কচি থাকতেই এসব ফল নষ্ট করে ফেলছে কাঠবিড়ালী। এর ফলে উৎপাদন অনুসারে ফল পাওয়া যাচ্ছে না। এ জন্য এই ক্ষতিকর প্রাণী প্রতিরোধে এবং কিভাবে এটি দমন করা যায় সেজন্য এগিয়ে আসতে হবে আগে। ’
এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক মো. সামসুল আরেফিন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তার কাছে জানতে চান, এই কাঠবিড়ালী দমনে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ আছে কিনা। এ ক্ষেত্রে করণীয় কি হবে?
এর জবাবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা বলেন, কাঠবিড়ালী শুধু বাংলাদেশের সমস্যা না, নারকেলগাছ প্রবণ শ্রীলংকা ও দক্ষিণ ভারতেরও সবচেয়ে বড় সমস্যা এই প্রাণী। সেখানেও এই প্রাণী দমনে গবেষণা হয়েছে। কিন্তু কোনোভাবেই তা প্রতিরোধ করা যাচ্ছে না। আমরাও অনেক পদক্ষেপ নিয়েছি। কিন্তু কার্যকর কোনো ফল এখনও পাইনি। কাঠবিড়ালী প্রতিরোধ আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এখন। তাই এ নিয়ে আরও গবেষণা হচ্ছে। আশা করছি ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে কাঠবিড়ালী দমনে একটি কায়কর গবেষণা আমরা হাতে পাবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৭
টিএইচ/টিসি