শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে হাটহাজারী পার্বতী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালামের গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এই মারামারির ঘটনা ঘটে।
তবে এতে বড় ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন হাটহাজারী থানার ওসি বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠান শুরুর পর অতিথিদের ফুল দেয়া নিয়ে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মঞ্জুরুল আলম এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন নোমানের অনুসারীদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। এক পর্যায়ে অনুষ্ঠান স্থল জুড়ে দুই গ্রুপের ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা পরস্পরকে চেয়ার ছুঁড়ে মারতে থাকে।
অনুষ্ঠানস্থল জুড়ে ভীতসন্ত্রস্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে মাইক নেন প্রধান অতিথি ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। তিনি নেতাকর্মীদের শান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে এক পর্যায়ে বলেন, ‘শেখ হাসিনা আছেন বলেই আমরা রাজনীতি করতে পারছি। শেখ হাসিনা চোখ বন্ধ করলেই তোমাদের কুত্তার মত পেটাবে। ’
এসময় ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এবং এম এ সালামসহ সিনিয়র নেতারা সবাই মঞ্চ ত্যাগ করেন। তবে বিকেল ৫টার দিকে আবারও কিছুক্ষণের জন্য মঞ্চে আসেন সালাম। তিনি এবং সভাপতি বক্তব্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ করেন।
এম এ সালাম বাংলানিউজকে বলেন, গত দুই যুগ ধরে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছি। কখনও এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হইনি। আমি সংবর্ধনা নিতে চাইনি। উপজেলা আওয়ামী লীগের বারবার অনুরোধে রাজি হয়েছিলাম। এই ধরনের বিভেদ আমাদের জন্য কোন সুফল বয়ে আনবে না।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৭
আরডিজি/টিসি