ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সাকার সম্মতির তালিকায় রাঙ্গুনিয়া বিএনপির কমিটি!

মো.মহিউদ্দিন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৭
সাকার সম্মতির তালিকায় রাঙ্গুনিয়া বিএনপির কমিটি!

চট্টগ্রাম: ফাঁসির আগে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর সম্মতি দেওয়া তালিকায় গঠন করা হয়েছে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা ও পৌর বিএনপির কমিটি। ১০১ সদস্য বিশিষ্ট উপজেলা বিএনপির কমিটিতে সাকা চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী ও ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরীকে সদস্য করা হয়েছে।

উপজেলা বিএনপির সভাপতি করা হয়েছে অধ্যাপক কুতুব উদ্দিন বাহারকে। উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবু আহমেদ হাসনাতকে সাধারণ সম্পাদক, মো.আইয়ূবকে সিনিয়র সহ সভাপতি, মো.ফজলুল হককে সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক, শওকত আলী তালুকদারকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ১০১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।

অন্যদিকে রাঙ্গুনিয়া মাহবুব ছফাকে পৌর বিএনপির সভাপতি এবং খোরশেদ আলমকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। কমিশনার মফিজুল ইসলামকে সিনিয়র সহ সভাপতি, নুরুল ইসলামকে সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক, জাকির হোসেনকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ১০১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।

আবু আহমেদ হাসনাত বাংলানিউজকে বলেন, অধ্যাপক কুতুব উদ্দিন বাহারকে সভাপতি ও আমাকে সাধারণ সম্পাদক করে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা বিএনপির কমিটি গঠন করা হয়েছে।

জানা গেছে, ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ’র সঙ্গে ভারতের দিল্লিতে সরকার উৎখাতের বৈঠকের অভিযোগে গ্রেফতার বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আসলাম চৌধুরী কমিটি দুটির অনুমোদন দিয়েছেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা ও পৌর বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি শনিবার (১৮) ফেব্রুয়ারি ঘোষণা করা হলেও চূড়ান্ত করা হয়েছিল গত বছরের ২৫ মার্চ। মোসাদ কানেকশানের অভিযোগে একই বছরের ১৫ মে ঢাকার কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা থেকে গ্রেফতার হন আসলাম চৌধুরী। জেলে থাকার কারণে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিতে পারেননি। সম্প্রতি আদালতে হাজিরা দিতে আসলে কমিটি ঘোষণার নির্দেশ দেন।

দলের যুগ্ম মহাসচিব ও উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দিলেও সদস্য সচিব কাজী আবদুল্লাহ আল হাসান বলছেন, কমিটি দুটি ভূয়া। নেতা-কর্মীদের বিভ্রান্ত করতেই এ ধরনের কর্মকাণ্ড।

উপজেলা এবং পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি থাকা অবস্থায় তাদের বাদ দিয়ে কমিটি হয়না দাবি করে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, সন্ত্রাসী আর বহিস্কৃতদের দিয়ে দল চলে না। সরকারকে খুশি করতেই এ ধরনের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া এককভাবে কমিটি গঠনের এখতিয়ার আসলাম চৌধুরীর নেই।

দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কমিটি গঠনের বিষয়ে নিষেধ করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, দলের আহ্বায়ক কারাগারে থাকার কারণে আমি কোন কমিটি ঘোষণা করছি না। এছাড়া নেত্রী বলেছেন উপজেলা ও পৌর বিএনপির কমিটি কেন্দ্র থেকে ঘোষণা করা হবে। ফলে জেলা পর্যায়ে কমিটি ঘোষণার কোন সুযোগ নাই।

তবে কমিটি গঠনে আসলাম চৌধুরীকে একক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক নবাব মিয়া চেয়ারম্যান।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আহ্বায়ক কমিটি গঠনের পর সদস্য সচিব এককভাবে কমিটি গঠনের চেষ্টা করলে দলের মহাসচিব কাজী আবদুল্লাহ আল হাসানকে বাদ দিয়ে আসলাম চৌধুরীকে এককভাবে কমিটি গঠনের ক্ষমতা দেন। ফলে কমিটি গঠনের বিষয়ে সদস্য সচিবের কোন ক্ষমতা নেই।  

দলকে গতিশীল করতে ২০১৪ সালের ২৯ এপ্রিল আসলাম চৌধুরীকে আহ্বায়ক ও আবদুল্লাহ আল হাসানকে সদস্য সচিব করে ৯১ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়। ৪৫ দিনের মধ্যে সম্মেলন করে পূর্ণাঙ্গ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোন্দলের কারণে এখনো অধিকাংশ উপজেলায় সম্মেলন করতে পারেনি।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৭

এমইউ/টিসি  

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।