নগরীর দেওয়ানবাজার নিরাপদ হাউজিং সোসাইটির মাদ্রাসা ভবনের তৃতীয়তলায় বিস্ফোরণের ঘটনার চিত্র এটি। শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) ভোরের এ বিস্ফোরণের ঘটনায় ছয়তলা ভবনটির ৩৬টি ফ্ল্যাটের মধ্যে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে ১৮টি ফ্ল্যাট।
তবে ঘড়ির কাঁটা বলে দিচ্ছে ঘটনার সময়।
ভবনের বিভিন্ন ফ্ল্যাট ঘুরে দেখা গেছে, বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বেশিরভাগ কক্ষ। ভেঙে গেছে সামনের দেয়াল ও দরজা। এছাড়া একই সময়ে স্থির হয়ে আছে সবগুলো ঘড়ির কাঁটা।
ভবনের ৩০৫ নম্বর ফ্ল্যাটে থাকেন শিলা রানী ধর (৬০)। বিস্ফোরণে তাদের বাসার দেয়াল ও দরজা ভেঙে গেছে।
বিস্ফোরণের সময় নিয়ে জানতে চাইলে ড্রয়িং রুমে থাকা ঘড়িটা দেখিয়ে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘দেখুন, ঘড়ির কাঁটা ৫টা ১৬ মিনিটে স্থির হয়ে আছে। বিকট শব্দে বিস্ফোরণের সময় বাসার দরজা-জানালাতো ভাঙলোই, সাথে দেয়াল ঘড়িটাও বন্ধ হল। ’
‘মনে করেছিলাম, ভূমিকম্প হয়েছে। এমন শব্দ আর কখনও শুনিনি। হার্ট-অ্যাটাক হওয়ার মত অবস্থা হয়েছিল। ’
পাশের ৩০৬ নম্বর ফ্ল্যাটের বাসিন্দা পঙ্কজ চট্টোপাধ্যায় বাংলানিউজকে বলেন, ‘ঘুম ভাঙার পর শুধুই ধোঁয়া দেখেছি। বিকট শব্দ শোনার পর নিচে নেমে যাই। পরে বাসায় এসে দেখি দেয়াল ঘড়ির গ্লাস ভেঙে গিয়ে বন্ধ হয়ে গেছে। নিচে পড়ে আছে জানালার গ্লাস। ’
এদিকে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বিকট শব্দের কারণে ঘড়ির ভেতরের সংযোগ তারগুলো বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া কিংবা পাওয়ার সংযোগ বিকল হয়ে যাওয়ার কারণে ঘড়িগুলো বন্ধ হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পদার্থবিদ্যা, ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘যেহেতু বিকট শব্দে বিস্ফোরণের কারণে দেয়াল উড়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে সেখানে দেয়াল ঘড়ি বন্ধ হয়ে যাওয়া স্বাভাবিক। কারণ বিকট শব্দে ঘড়ির ভেতরের যন্ত্রাংশ ছিঁড়ে যেতে পারে না হয় সংযোগ বিকল হয়ে গেছে। এর কারণে সবগুলো ঘড়ি বিস্ফোরণের সাথে বন্ধ হয়ে গেছে। ’
বিস্ফোরণের ঘটনায় ওই ভবনের ৩০১ নম্বর ফ্ল্যাটের বাসিন্দা মোতালেব হোসেনের মা, এক মেয়ে ও এক ছেলে গুরুতর আহত হয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৭
জেইউ/আইএসএ/টিসি
**লণ্ডভণ্ড ৩৫ ফ্ল্যাট, পুলিশ বলছে গ্যাস বিস্ফোরণ