ঢাকা, বুধবার, ১১ আষাঢ় ১৪৩২, ২৫ জুন ২০২৫, ২৮ জিলহজ ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ছয়তলা ভবনে রহস্যজনক বিস্ফোরণ, আহত ৪

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২:৫৬, জানুয়ারি ২৭, ২০১৭
ছয়তলা ভবনে রহস্যজনক বিস্ফোরণ, আহত ৪  রহস্যজনক বিস্ফোরণে উড়ে গেছে দেয়াল। ছবি: সোহেল সরওয়ার-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: নগরীর বাকলিয়া থানাধীন দেওয়ানবাজার নিরাপদ হাউজিং সোসাইটির ছয়তলা একটি ভবনের তৃতীয়তলায় রহস্যজনক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) ভোররাত পাঁচটার দিকে বিকট শব্দে এ বিস্ফোরণ হয়।

সোসাইটির লোকজন বাংলানিউজকে জানান, এমদাদ আলী সড়কের মাদ্রাসা ভবন নামে পরিচিত ছয়তলা ভবনের তৃতীয় তলায় বিস্ফোরণে উড়ে গেছে ঘরের আসবাব, ভেঙে চুরমার হয়েছে পুরো ভবনের জানালার কাচ। শুধু তাই নয়, বিস্ফোরণের সময় উড়ে যাওয়া দেয়ালের বড় বড় টুকরা রাস্তার ওপাশের একটি ভবনের ব্যালকনিতে পড়লে সেটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

বিস্ফোরণের পরপর হাজারো কৌতূহলী মানুষের ভিড় জমেছে।

এদিকে বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে পুলিশ।

এ ঘটনার সঙ্গে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।  
জানালার থাই অ্যালুমিনিয়ামের ফ্রেমসহ ধ্বংসস্তূপ, রাস্তার অপর পাশের ভবনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যালকনি

আলমগীর নামের এক ব্যক্তি জানান, ওই ভবনে বিস্ফোরণের পর পুরো এলাকাটি কেঁপে ওঠে। মনে হয়েছিল ভূমিকম্প হচ্ছে।

ফখরুল আহসান মুকুল নামের এক তরুণ মাদ্রাসা ভবনের চতুর্থ তলার ৩ নম্বর ইউনিটের ভাড়াটিয়া পরিচয় দিয়ে বলেন, ভোরে দুটি বিকট শব্দ হয়। ভবনের সব থাই গ্লাস ভেঙে যায়। আমরা দরজা খুলে দেখি সিঁড়িতে অগ্নিদগ্ধ ইপ্তি পড়ে আছে।

আমিন সাহেবের বিল্ডিংয়ের বাসিন্দা মুস্তফা বললেন, এত বিকট শব্দ হতে পারে আগে ধারণাও ছিল না। আমরা সবাই চমকে উঠেছিলাম। পরে সব দেখে ঘটনার ভয়াবহতা টের পেলাম।

ভবনটির ফটকে দায়িত্বরত এক যুবক বাংলানিউজকে জানান, একজন নারীসহ চারজন আগুনে ঝলসে গেছে। তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির নায়েক শহীদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, সকাল ৫টা ২০ মিনিটে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয় মোতালেবের ছেলে মো. আরিফ (২৭), মেয়ে তনিমা আফরিন ইপ্তি (১৭) এবং মা ছমুদা খাতুনকে (৬০)। তাদের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

বিস্ফোরণে উড়ে গেছে ঘরের আসবাব

কর্তব্যরত চিকিৎসক বাংলানিউজকে জানান, নাতনি ইপ্তি ও দাদি ছমুদা খাতুনের ১০০ ভাগ পুড়ে গেছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ছাড়া নাতি আরিফের ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে।  

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের আগ্রাবাদ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সূত্রে জানা গেছে, আনোয়ারার আরাবিয়া খাইরিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার মালিকানাধীন ওই আবাসিক ভবনের তৃতীয়তলায় অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে চন্দনপুরা ও নন্দনকানন স্টেশন থেকে চারটি গাড়ি আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে। মাদ্রাসা ভবনের সামনে শাহাদাত হোসেনের মালিকানাধীন ভবনটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।  বিস্ফোরণে ধ্বসে পড়ে ঘরের দেয়াল

ফায়ার সার্ভিসের হিসাবে পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে এ অগ্নিকাণ্ডে। তবে আগুন লাগার কারণ ‘তদন্ত সাপেক্ষে’ বলা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রাথমিক প্রতিবেদনে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বাকলিয়া থানার উপপরিদর্শক মো. শাহিন ভূঁইয়া। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়েছে। যে ঘরে বিস্ফোরণ হয়েছে সেটি রান্নাঘর ছিল না। তাই গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়েছে বলা যাচ্ছে না। আমরা তদন্ত করে দেখছি।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৭
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।