ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ডিজিটাল দেশের জন্য আইটি অবকাঠামোর উন্নয়ন করতে হবে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৭
ডিজিটাল দেশের জন্য আইটি অবকাঠামোর উন্নয়ন করতে হবে এসসিআইটিপি’র সংবাদ সম্মেলন

চট্টগ্রাম: ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে শুধু ব্যান্ড উইথের দাম কমালেই হবে না একই সঙ্গে আইটি ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপ করা দরকার বলে মন্তব্য করেছেন সোসাইটি অব চিটাগং আইটি প্রফেশনালসের (এসসিআইটিপি) সেক্রেটারি জেনারেল মো. সাইফুল ইসলাম মাহিন।

সোমবার (২৩ জানুয়ারি) তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) পেশাজীবীদের সংগঠন এসসিআইটিপির প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মো. সাইফুল ইসলাম মাহিন বলেন, আমরা এগোচ্ছি ধীরে, ইন্টারনেট এগোচ্ছে দ্রুত।

ব্যান্ড উইথের দাম যে হারে কমানো হচ্ছে সে হারে ইন্টারনেট সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার যন্ত্রপাতির দাম ও আনুষঙ্গিক ব্যয় কমছে না। এখনো পিডিবির খুঁটির ওপর নির্ভর করেই আমাদের ইন্টারনেটের লাইন নিতে হচ্ছে।
ঝড়-তুফানে লাইন ছিঁড়ে যাচ্ছে তো সংযোগ বিচ্ছিন্ন হচ্ছে। উন্নত বিশ্বে এটি কল্পনাও করা যায় না।  

হ্যাকিং প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, হ্যাক ভ্যালু বলে একটি কথা আছে। হ্যাকাররা হয় নাম চায় নয়তো অর্থ চায়। কেউ কেউ শখের বশেও হ্যাক করে। আমাদের আইটি খাত যত ডেভেলপ হচ্ছে ততই হ্যাক ভ্যালু বাড়ছে, রিস্ক বাড়ছে। আমাদের বাংলাদেশ ব্যাংকে অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটেছে। তাই আর্থিক খাতসহ সব করপোরেট প্রতিষ্ঠানকে হ্যাকিং বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

তরুণ আইটি শিক্ষার্থীদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা যখন এ বিষয়ে পড়াশোনা করেছি তখন পরিবারের কেউ আইটি সম্পর্কে জানত না। আমাদের গাইড ছিল না। কোন লাইনে যাব। এখন সার্টিফিকেশনের বিশ্ব। আমাদের সংগঠন থেকে আইটি শিক্ষার্থীদের সঠিক গাইডলাইন দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছি। প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। এসব প্রফিটের জন্য নয়, সামাজিক দায়বদ্ধতার জন্য, দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য।       

সংগঠন সভাপতি মো. আবদুল্লা ফরিদ বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে হলে আইটি সার্ভিস প্রোভাইডারদের সমন্বিত উদ্যোগ দরকার। সিটি করপোরেশন, সিডিএ, সড়ক ও জনপথ বিভাগের সড়কের নিচে যদি ইন্টারনেট লাইন নিয়ে যেতে হয় তাহলেও সমন্বিত উদ্যোগ দরকার।

তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য এ পেশায় যারা আছেন তাদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে চট্টগ্রামকে পরবর্তী প্রযুক্তি হাব হিসেবে গড়ে তুলে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ভূমিকা রাখা।

আইটি খাতের ভোক্তা থেকে উৎপাদক পর্যায়ে দেশকে নিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের চুয়েট, বুয়েটসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হওয়া আইটি খাতের শিক্ষার্থীরা উন্নত দেশগুলোতে সুনামের সঙ্গে গবেষণা করে সাফল্যের স্বীকৃতি পাচ্ছে। কিন্তু দেশে আইটি খাতের যন্ত্রপাতি উৎপাদনের জন্য কাঙ্ক্ষিত ল্যাব, ইনফ্রাস্ট্রাকচার ও ফান্ড নেই। এক্ষেত্রে দেশের বড় বড় ব্যবসায়ী গ্রুপগুলোকে গবেষণা খাতে অর্থ বিনিয়োগ করতে হবে। বিশ্বের বড় বড় আইটি প্রতিষ্ঠানগুলোকে এখানে ল্যাব তৈরিতে উৎসাহিত করতে হবে।     

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এসসিআইটিপি’র জয়েন্ট সেক্রেটারি রিপন চৌধুরী, নাজমুল করিম মজুমদার, শাহ পরান, এবিএম আহসান উল্লাহ প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে বর্তমানে এ সংগঠনের সদস্যসংখ্যা ৪৫০ জন বলে জানানো হয়। এর মধ্যে ১১০টি করপোরেট প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ৩০ জনের মতো সিআইও, সিটিও এবং ৭০ জন আইটি ম্যানেজার। বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) নগরীর জিইসি কনভেনশন সেন্টারে সংগঠনের প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দেশ-বিদেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা অংশ নেবেন। অনুষ্ঠানমালায় সাইবার থ্রেটের ওপর একটি সেমিনার ও আইটি ক্যারিয়ারের ওপর আলোচনা পর্ব থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৭

এআর/টিসি

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।