ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জামাল উদ্দিন অপহরণ মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি বৃহস্পতিবার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৭
জামাল উদ্দিন অপহরণ মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি বৃহস্পতিবার

চট্টগ্রাম: বহুল আলোচিত ব্যবসায়ী ও বিএনপি নেতা জামাল উদ্দিন অপহরণ ও হত্যা মামলার অভিযোগ গঠনের জন্য বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) সময় নির্ধারণ করেছেন আদালত।

সোমবার (২৩ জানুয়ারি) মামলাটির অভিযোগ গঠনের শুনানির সময় নির্ধারিত থাকলেও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর সময়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে তা পিছিয়ে যায়।  

এরপর চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী পরবর্তী সময় নির্ধারণ করেন।

  বিষয়টি বাংলানিউজকে জানিয়েছেন ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী এস এম সাঈদ।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, প্রায় এক বছর আগে গত বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি চাঞ্চল্যকর এই মামলাটির অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন মহানগর হাকিম আদালত।

  এরপর মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত করে পাঠানো হয় মহানগর দায়রা জজ আদালতে।   গত বছরের নভেম্বরে মামলাটি বিচারের জন্য চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠান চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ।

২০০৩ সালের ২৪ জুলাই রাতে নগরীর চকবাজারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে বাসায় ফেরার পথে জামাল উদ্দিন অপহৃত হন।   পরে তার কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়।   এ ঘটনায় অপহরণের দিনই নগরীর চান্দগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেন জামাল উদ্দিনের ছেলে চৌধুরী ফরমান রেজা লিটন।

মামলার অষ্টম তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন ২০০৬ সালের ১০ জুলাই সর্বপ্রথম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।   তাতে তিনি মামলা থেকে বিএনপির সাবেক সাংসদ সরওয়ার জামাল নিজামসহ ২৪ জনকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করেন।   মামলার বাদি এ অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে নারাজি দেন একই বছরের ১৭ জুলাই।   আদালত তা গ্রহণ করে মামলাটি পুনঃতদন্তের নির্দেশ দেন।   তদন্ত শেষে ওই বছরের ১০ ডিসেম্বর আগের অভিযোগপত্রের মতোই ঘটনার মূল হোতাদের বাদ দিয়ে ১৬ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন সিআইডির এএসপি হামিদুল হক।

মূল হোতাদের বাদ দেওয়ায় বাদি আবারও আদালতে নারাজি আবেদন করেন।   কয়েক দফা পিছিয়ে ২০০৭ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি নারাজি শুনানির দিন ধার্য থাকলেও উচ্চ আদালত থেকে স্থগিতাদেশ আসায় শুনানি হয়নি।   মামলার আসামি কালা মাহাবুবকে রাজসাক্ষী করায় আপত্তি জানিয়ে আসামি মারুফ নিজাম ও সোবহান হাইকোর্টে রিট করায় উচ্চ আদালত এ স্থগিতাদেশ দেন।

২০১১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সেই স্থগিতাদেশগুলো প্রত্যাহার করে নেন আদালত।   কিন্তু এরপর সুপ্রিম কোর্টে প্রত্যাহার আদেশ বাতিলের আবেদন করেন আসামিরা।   পরে এ আপিল খারিজ করে দেন সুপ্রিম কোর্ট।   এর বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেন আসামিরা।   সেটিও ২০১৫ সালে খারিজ করে দেন আদালত।   এ আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে রিভিশন মামলা দায়ের হয়।   রিভিশন মামলাও খারিজ করে দেন আদালত।

এরপর গত বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি রিভিশন খারিজের নকল সংশ্লিষ্ট আদালতে দাখিল করা হয়।   আদালত সেটি পর্যালোচনার পর অভিযোগপত্র গ্রহণ করা হয়েছে মর্মে আদেশ দেন।

জামাল উদ্দিন অপহরণের প্রায় দুই বছর পর অপহরণের অন্যতম হোতা আনোয়ারা সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) তৎকালীন চেয়ারম্যান শহীদকে গ্রেপ্তার করা হয়।   তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জেলার ফটিকছড়ির কাঞ্চননগরের পাহাড়ি এলাকা থেকে ২০০৫ সালের ২৪ আগস্ট জামাল উদ্দিনের কঙ্কাল উদ্ধার করে  র‌্যাব।   সিঙ্গাপুরে ডিএনএ পরীক্ষার পর নিশ্চিত হওয়া যায় যে কঙ্কালটি অপহৃত জামাল উদ্দিনেরই।   এরপরই মূলত মামলাটি গতি পায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৭

আরডিজি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।