নগরীর ৮টি সরকারি স্কুলে ৯ম শ্রেণির ৭৫০ আসনের বিপরীতে অনলাইনে আবেদন জমা পড়েছিল ৭ হাজার ৬৪৮টি। জেএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে এ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার নির্দেশনা ছিল।
উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে এক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর অভিভাবক সায়রা ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমার ছেলে জেএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছে।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. হাবিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, টেলিটকের মাধ্যমে প্রকাশিত নবম শ্রেণির ভর্তি ফলাফলে (৫ জানুয়ারি) ত্রুটি দেখা দেওয়ায় তা বাতিল করা হয়েছিল। কেননা, ফলাফলে অনেক গোল্ডেন জিপিএ ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী স্থান পায়নি এবং ভর্তিতে তারতম্য দেখা দিয়েছিল।
তিনি বলেন, জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওইদিনই ফলাফল বাতিল করা হয়। নতুনভাবে ফলাফল প্রকাশের জন্য ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে তারা জানান, জানুয়ারি মাসে এ বিষয়ে সহযোগিতা করতে পারছেন না। তবে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে এ বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নবম শ্রেণির ভর্তির ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. মাহবুব হাসান বাংলানিউজকে বলেন, নবম শ্রেণির ভর্তির বিষয়ে জেলা প্রশাসন থেকে বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। বর্তমানে অষ্টম শ্রেণির পুনর্নিরীক্ষণের কাজ চলছে। তাই ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নবম শ্রেণির ভর্তির বিষয়টি দেখভাল করা হবে বলে তাদের জানিয়েছি।
এবছর কলেজিয়েট স্কুল অ্যান্ড কলেজে ১৪০ আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে ১ হাজার ৫৬৮টি। সরকারি মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৪০ আসনে ১২৬০টি, নাসিরাবাদ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৫০ আসনে ১৫৮৫টি। চট্টগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে আসনে ৮০ আসনে ৭৫৯টি, চট্টগ্রাম সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬০ আসনে ৮২৪টি, হাজী মুহাম্মদ মহসীন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪০আসনে ৪৫৫টি, বাকলিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৮০ (ছাত্র ৪০ ও ছাত্রী ৪০) আসনে ৮০৭টি (বালক ৫১৩ ও বালিকা ২৯৪), সিটি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬০ আসনে ৩৯০টি আবেদন জমা পড়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১২০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৭
এসবি/আইএসএ/টিসি