ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‌‌দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে পৌরকরমুক্ত রাখবে চসিক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৭
‌‌দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে পৌরকরমুক্ত রাখবে চসিক সাধারণ সভায় বক্তব্য দেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন

চট্টগ্রাম: নগরীতে বসবাসরত হতদরিদ্র ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে ‘পৌরকর’র আওতামুক্ত রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ১৮ম সাধারণ সভায়।

রোববার (২২ জানুয়ারি) নগর ভবনের কেবি আবদুচ সাত্তার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন সভাপতিত্ব করেন।

সভায় দরিদ্র ছাড়াও বিধবা এবং অসচ্ছলদের পৌরকর সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখার বিষয়ে ঐকমত্য হয়।

চলমান অ্যাসেসম্যান্ট শেষে নগরবাসীকে পৌরকর ধার্যের বিষয়ে অবহিত করা ও অবহিত হওয়ার পর পৌরকরের বিষয়ে আপত্তি উত্থাপনের সুযোগ রাখার এবং কোনো নগরবাসীর ওপর পৌরকর আরোপের বিষয়ে কোনো ধরনের অনিয়ম না করার সিদ্ধান্ত হয়।

চসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল হোসেনের উপস্থাপনায় সভায় চসিক পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে নীতিমালার আওতায় পরিচালনার লক্ষ্যে প্রণীত শিক্ষা নীতিমালা সর্বসম্মতিতে গৃহীত হয়।

এ প্রসঙ্গে বলা হয়, সরকারের শিক্ষানীতির আলোকে প্রণীত এ নীতিমালায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং কর্মচারীদের সুনির্দিষ্ট, স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক নিয়মের লক্ষ্যে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের কলেজ পরিদর্শক, চট্টগ্রাম জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, বিজয় স্মরণী কলেজের অধ্যক্ষ, চসিক প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা এবং মেয়রের একান্ত সচিবের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি ৬ মাসে শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেছে। চূড়ান্ত নীতিমালায় শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়োগ, নিয়মনীতি, পদোন্নতি, দায়িত্ব, কর্তব্য, বেতন-ভাতাদি, স্থায়ী ও নিয়মিতকরণসহ ২৬টি অনুচ্ছেদ সংযোজিত হয়েছে। ১৯তম সাধারণ সভায় স্বাস্থ্যনীতিমালাও অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে।

সভায় চট্টগ্রাম ওয়াসার কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্পের অধীন রাঙ্গুনিয়ার পোমরায় নির্মিত পানি শোধনাগারটি ‘শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার’ বা ‘শেখ হাসিনা ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট’ নামকরণের প্রস্তাব গৃহীত হয়।

সভায় ৪১টি ওয়ার্ডে ডিজিটাল সেন্টার চালু, উদ্যান নির্মাণ, বাকলিয়া স্টেডিয়ামকে খেলার উপযোগী করা, ঠান্ডাছড়ি লেক রিসোর্টের পরিকল্পিত উন্নয়ন, ৩২৮টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন, সব ওয়ার্ডে জঙ্গি প্রতিরোধ কমিটি গঠন, চসিক পরিচালিত সব স্থাপনা, হাটবাজার, শপিং কমপ্লেক্স, স্কুল-কলেজ এবং হাসপাতালসহ সর্বত্র অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা চালু এবং সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবেলায় সেবক প্রশিক্ষণ প্রদানের প্রস্তাব গৃহীত হয়।

মেয়র ওয়ার্ড কার্যালয়গুলোকে নাগরিক সেবার প্রধান ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচনায় এনে কাউন্সিলরদের সার্বক্ষণিকভাবে নাগরিক চাহিদা পূরণে তৎপর থাকার পরামর্শ দেন।

তিনি আসন্ন বর্ষা মৌসুমের আগেই সব নালা-নর্দমা ও খাল-বিলের ধারণক্ষমতা বাড়ানোর বর্তমান কর্মসূচি আরও গতিশীল করা এবং জানুয়ারি মাসের মধ্যে উন্নয়নকাজের দরপত্র আহ্বানের নির্দেশনা দেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৭

এআর/টিসি

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।