বুধবার দুপুর ২টায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিলুর রহমানের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
একইদিন রাত সাড়ে নয়টার দিকে জেলা প্রশাসন থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অভিযান পরিচালনার সময় সরেজমিনে দেখা যায় ‘ইয়ারা গেস্ট হাউস’ নামের এ বাড়ি মাদক, অসামাজিক কার্যকলাপ হয়।
জেলা প্রশাসনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জেলা আইন শৃঙ্খলা সভায় নাগরিক আবেদন থেকে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানে তথ্য প্রদানকারী ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি আবদুল মান্নান, মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের ইন্সপেক্টরবৃন্দ ও নবম এপিবিএন এর সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সন্দ্বীপের মকদারা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ববিও এ ব্যবসার সাথে জড়িত। তার পকেট থেকে তার ভাগের চুয়াল্লিশ হাজার টাকা পাওয়া যায়। দালাল মো. মাসুম ও দালাল জাহাঙ্গীরকে ছয় মাস, পারভেজকে এক মাস, মো. ইউসুফ, মানিক ও বাহার আমজাদ, জাকারিয়া শাহাবুদ্দিনি, ইমরানকে পনের দিনের জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি বাবুর্চি তাহের ও তার সহকারী নিত্য বড়ুয়াকে মানবিক ও বয়স বিবেচনায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া দারোয়ান বাশারকে একমাসের দণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে নোয়াখালীর আলমগীর, কক্সবাজারের গণি হোটেলের ম্যানেজার আলম ও বাবুল মোবাইল কোর্টের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়।
এদিকে সকালে একই মোবাইল কোর্ট চাক্তাই খাল এলাকায় অগ্নিনির্বাপন বিষয়ক মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে। দেখা যার চাক্তাই খাল সংলগ্ন এলাকায় প্রায় ২০ টি ডিজেল ও কেরসিনের পাইকারি দোকান রয়েছে। এ সব দোকানে অধিকাংশেরই কোন ফায়ার লাইসেন্স নেই। সে এলাকার ছয়টি লবন কারখান ও তেলের দোকানগুলোকে পনের দিনের সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে ফায়ার লাইসেন্স করার জন্য।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৭
টিএইচ/টিসি