এরপর ব্যারিস্টার আফরোজা আক্তার লিখিতভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করলে আদালত তাকে সতর্ক করে বলেন, ‘ম্যাডাম, এটা আপনার ড্রইংরুম নয়। এটা আপনার বেডরুমও নয়।
মামলায় বিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে আদালতের এই বক্তব্যের বিষয় জানিয়েছেন।
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রামের পঞ্চম মহানগর হাকিম নাজমুল হোসেন চৌধুরীর আদালতে এই ঘটনা ঘটেছে।
ওই আদালতে বন্দরের এক কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় দায়ের হওয়া একটি মামলার আসামির জামিন শুনানি চলছিল। আফরোজা আক্তার মামলার বাদি অর্থাৎ বন্দরের পক্ষে ছিলেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, গত ১৫ জানুয়ারি আসামিকে অর্ন্তবর্তীকালীন জামিন দিয়েছিল আদালত। শুনানিতে ব্যারিস্টার আফরোজা বিষয়টি নিয়েও আপত্তিকর বক্তব্য দেন। তিনি এসময় বলেন, আদালত ১৫ জানুয়ারি বাদিপক্ষের আইনজীবীর অগোচরে আসামিকে জামিন দিয়েছেন।
এসময় আসামির আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল আদালতের উদ্দেশ্যে বলেন, মাননীয় আদালত, বন্দরের আইনজীবী তো আপনাকেও আসামির কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। তিনি তো আদালত অবমাননা করছেন।
উভয়পক্ষে যুক্তি উপস্থাপনের পর আদালত আসামি আওয়ামী লীগ নেতা রোটারিয়ান মো. ইলিয়াসের জামিন বাতিল করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, নির্দেশ দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যারিস্টার আফরোজা হুররে বলে চিৎকার দিয়ে উঠেন। এসময় আমরা সবাই তার এই শিশুসুলভ আচরণের বিষয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করি। এই আচরণ আদালতের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় বলেও আমরা দাবি করি।
‘এরপর আদালত এই আচরণকে শিশুসুলভ উল্লেখ করে কারণ দর্শানোর কথা বলেন। তখন বন্দরের পক্ষে দাঁড়ানো অন্যান্য আইনজীবীরা সবাই হাত জোড় করে ক্ষমা চান। কিন্তু আদালত লিখিতভাবে ক্ষমা প্রার্থনা না করলে ওই আইনজীবীর বিরুদ্ধে প্রসিডিং নেয়ার কথা বলেন। তখন আফরোজা লিখিতভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের আচরণ করবেন না বলে এতে উল্লেখ করেন। ’ বলেন অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম
গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর কাজ না দেওয়ায় অজুহাতে অস্ত্র-শস্ত্রসহ ২০ থেকে ২৫ জন লোক নিয়ে অফিসে গিয়ে বন্দরের মেরিন ওয়ার্কশপের ডেপুটি ইঞ্জিনিয়ার এমদাদুল হকের ওপর হামলা চালান আওয়ামী লীগ নেতা হাজী মো. ইলিয়াস।
এই ঘটনায় নগরীর বন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৭
আরডিজি/টিসি