ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

অতিরিক্ত ফি নেওয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকা করবে ছাত্রলীগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৭
অতিরিক্ত ফি নেওয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকা করবে ছাত্রলীগ

চট্টগ্রাম: অতিরিক্ত ফি নেওয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকা তৈরি করে জেলা প্রশাসনকে দেবে ছাত্রলীগ।  পাশাপাশি এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে প্রতিবাদী বিক্ষোভ সমাবেশ এবং মানববন্ধনও করবে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।

বুধবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনের সভাপতি ইমরান আহম্মেদ ইমু ও সাধারন সম্পাদক নূরুল আজিম রনি সংগঠনের এই কর্মসূচির বিষয়টি জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে তারা বলেন, দশ দিনের মধ্যে ভর্তি ফি'তে আদায়কৃত অতিরিক্ত অর্থ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহকে ফেরত দেওয়ার সময়সীমা নির্ধারন করে দেওয়ায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই আমরা।

 সেই সাথে শেখ হাসিনা সরকারের ঐতিহাসিক "জাতীয় শিক্ষা নীতি" কার্যকর করে শিক্ষার্থীদের মাঝে সুফলতা পৌছে দিতে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আরও কঠোর হওয়ার আহবান জানাই।

নগরের আওতাধীন অভিযুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকা স্ব স্ব এলাকার ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ প্রকাশ করবেন জানিয়ে নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘অভিযুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সামনে প্রতিবাদী বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করবে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল আজিম রনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘সরকারি নীতিমালা অনুসরন না করে অতিরিক্ত ভর্তি ফি আদায়ের অভিযোগ নতুন কিছু না।   চট্টগ্রামে এ বিষয়ে দায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের বিরুদ্ধে কার্যকর কোন ব্যবস্থা বা দৃশ্যমান শাস্তি আমরা অতীতে দেখতে পাইনি।   এবারও যেন মুখের কথায় সীমাবদ্ধ না থাকে। ’

তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অতিরিক্ত ফি নেওয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকা তৈরি করতে মাঠে নামবে।   এরপর সেই তালিকা জেলা প্রশাসনকে দেওয়া হবে। ’

নগর ছাত্রলীগের এই শীর্ষ নেতা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, ‘২০১৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তিতে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের বিরুদ্ধে নগর ছাত্রলীগ রাজপথে প্রতিবাদী কর্মসূচি পালন করেছিল।  বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করলেও অভিযুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানদের বিরুদ্ধে কোন রকম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। চলতি ২০১৭ শিক্ষাবর্ষের শুরুতে গত ৩ জানুয়ারী নগরীর প্রেস ক্লাব চত্বরে প্রতিবাদী মানববন্ধন থেকে আমরা অভিযোগ করেছিলাম ‘‘ভর্তিতে সরকারি নীতিমালা মানছে না চট্টগ্রামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহ’’।  সেদিন আমাদের অভিযোগ আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিত তাহলে শেখ হাসিনার শিক্ষা সেবা জনগনের মাঝে পৌছে দেয়া সহজ হত। ’

বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৭

টিএইচ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।