ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

স্কুলে নেয়া বাড়তি টাকা ফেরত দিতে ১০ দিন সময়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৭
স্কুলে নেয়া বাড়তি টাকা ফেরত দিতে ১০ দিন সময়

চট্টগ্রাম: বেসরকারি স্কুল, স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মাধ্যমিক, নিম্ন মাধ্যমিক ও সংযুক্ত প্রাথমিক স্তরে শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালাকে তোয়াক্কা না করে যে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নিয়েছে, তাদের ১০ দিনের মধ্যে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রাম অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(শিক্ষা ও আইসিটি) মো. হাবিবুর রহমান। 

 

মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে মহানগরীর শতাধিক বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের সাথে মতবিনিময়কালে এ নির্দেশনা দেন তিনি।  স্কুল ভর্তিতে নানা অজুহাতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে লাগামহীন টাকা আদায় ঠেকাতে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সভায় মহানগরীর শতাধিক বেসরকারি স্কুল ও মাদ্রাসার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ভর্তি নীতিমালা অনুসরণ না করে মহানগরীর অনেক স্কুলে ভর্তি ফি, উন্নয়ন ফি, সেশন চার্জ, টিসিসহ নানান খাতে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছে। এ সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি অভিযোগ ও স্মারকলিপি আমাদের কাছে জমা পড়ে।

পরে তদারকিতে তার সত্যতা পাওয়া গেছে। এমন কয়েকটি স্কুল আছে যেখানে ভর্তির সময় নানাখাত দেখিয়ে দশ হাজারের বেশি টাকা নেওয়া হয়েছে। যা কখনো কাম্য নয়। এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সরকার বেতনভাতা দিচ্ছে। এমনও কিছু স্কুল আছে, যেখানে নন-এমপিওভুক্ত কিছু শিক্ষককে নিয়োগ দেন স্কুল পরিচালনা কমিটি। সেই শিক্ষকদের বেতন দেওয়ার অজুহাতেও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ভর্তি নীতিমালার স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে সেশন চার্জসহ ভর্তি ফি সর্বসাকুল্যে ঢাকা ব্যতীত অন্যান্য মেট্রোপলিটন এলাকায় ৩০০০ হাজার টাকার বেশি নেওয়া যাবে না এবং উন্নয়ন ফি নেওয়া যাবে না। তাই আগামী ১০ দিনের মধ্যে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নানান খাতে নেওয়া অতিরিক্ত টাকা ফেরত দিতে হবে। ভর্তি নীতিমালা অনুসরণ না করলে ওই সকল স্কুলের এমপিও বাতিলসহ  আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের উপ-বিদ্যালয় পরিদর্শক আবুল মনসুর ভূইয়া বলেন, অভিভাবকেরা সচেতন হলে কোন স্কুলে অতিরিক্ত ফি নিতে পারবে না। ভর্তি নীতিমালার ১০ এর খ ও গ ঢাকা মহানগরীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য; চট্টগ্রামের জন্য নয়। কোন স্কুল উন্নয়ন ফি এর নামে কোন অতিরিক্ত টাকা নিতে পারবে না। অতিরিক্ত টাকা আদায়ের বিষয়ে কোন স্কুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেলে নীতিমালা অনুসারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করা হবে।

সভায় জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হোসনে আরা, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাইফুর রহমান,ক্যাবের (কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এস এম নাজির হোসাইন, ইলামার প্রধান নির্বাহী জেসমিন সুলতানা পারুল, চট্টগ্রাম ক্যান্টনম্যান্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের মোহাম্মদ ফারুক আলী তরফদার, পাথরঘাটা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুর রহমান সিকদার, জে এম সে স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. জহুরুল ইসলাম, বি এ এফ শাহীন কলেজের মো. সিরাজুল হক ভুইয়া, মেরন সান স্কুল অ্যান্ড কলেজের চেয়ারম্যান মোরশেদ হোসেন, মেরিট বাংলাদেশ স্কুল অ্যান্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ মো. শহীদুল ইসলাম, চিটাগাং আইডিয়াল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আবু তাহের মজুমদার, সেন্ট মেরিস স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সিস্টার মেরী সঙ্গীতা, সলিমা সিরাজ মহিলা ফাজিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মুছা, বাংলাদেশ কিন্ডার-গার্ডেন স্কুল-কলেজ ঐক্য পরিষদের বিভাগীয় সভাপতি ইকবাল বাহার চৌধুরী, পতেঙ্গা ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার মো. জাকের হোসাইনসহ শতাধিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও প্রতিনিধি এবং ক্যাব সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৭

এসবি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।