রোববার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে পার্কিংয়ের জন্য মাটি কাটা এবং ইট-বালু স্তূপ করতে দেখা গেছে শ্রমিকদের।
যোগাযোগ করলে চসিকের প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, চসিকের মূল ভবনের সামনে বর্তমানে হাতেগোনা কিছু গাড়ি পার্কিং করা যায়।
তিনি জানান, পার্কিং স্পেসের মাঝখানে একটি চত্বর থাকবে। এ ছাড়া ভিআইপি, অতিথি, মোটরসাইকেল ও সিএনজি অটোরিকশা রাখার জন্য কয়েকটি জোন রাখা হবে। ওই জায়গায় কোনো পার্কিং শেড থাকবে না। এ কাজের জন্য কোনো ঠিকাদারও নিয়োগ করা হয়নি। চসিকের নিজস্ব তহবিল থেকেই কয়েক লাখ টাকার মধ্যে কাজটি শেষ করা হবে।
চসিকের একজন কর্মকর্তা জানান, ২০১০ সালে ১৫ হাজার বর্গফুট জায়গায় ২০ তলা নগর ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। প্রকল্প ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪৮ কোটি ৮৪ লাখ ৫৬ হাজার ১৯ টাকা। এ লক্ষ্যে দরপত্র আহ্বান করা হলে সর্বনিম্ন দরদাতা মেসার্স এজে কনস্ট্রাকশনকে একই বছরের ১০ মার্চ কার্যাদেশ দেওয়া হয়। ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ভবনের ছয় তলা নির্মাণের কথা ছিল প্রতিষ্ঠানটির।
ওই বছরের ১৭ জুনের নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হন বিএনপি সমর্থিত এম মনজুর আলম। তিনি নগর ভবনের নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেন। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে পুনরায় নির্মাণকাজ শুরু করা হয়। এ সময় পাইলিংসহ আনুষঙ্গিক কিছু কাজ হয়েছিল।
বর্তমান মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন দায়িত্ব নেওয়ার পর নগর ভবনের ডিপিপি তৈরির নির্দেশ দেন চসিক কর্মকর্তাদের। এরপর আবার নতুন উদ্যমে গতি পায় নগর ভবন প্রকল্প।
বাংলাদেশ সময়: ২১২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৭
এআর/টিসি