ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

১০ মুক্তিযোদ্ধ‍ার বাড়ি তৈরি করছে চসিক

আল রাহমান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৬
১০ মুক্তিযোদ্ধ‍ার বাড়ি তৈরি করছে চসিক

চট্টগ্রাম: দুই কোটি টাকার বাজেটে নগরীর ১০ মুক্তিযোদ্ধাকে বাড়ি তৈরি করে দিচ্ছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মহানগর কমান্ডের আবেদনের প্রেক্ষিতে ‘কল্যাণমূলক ব্যয়’ খাতে চসিকের নিজস্ব তহবিল থেকে এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

মুক্তিযোদ্ধা সংসদের মহানগর ইউনিট কমান্ডার মোজাফফর আহাম্মদ বাংলানিউজকে জানান, ২০১৫ সালের ষোলই ডিসেম্বর চসিক আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের কাছে আমরা দাবি জানিয়েছিলাম নগরীর যেসব মুক্তিযোদ্ধা নিজস্ব ভিটি থাকা সত্ত্বেও অভাব-অনটনের কারণে জরাজীর্ণ কুটিরে বাস করছেন তাদের বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার জন্য। মেয়র অত্যন্ত আন্তরিকভাবে বিষয়টি বিবেচনা করেছেন।

তারই ধারাবাহিকতায় আমরা ৫০ জন মুক্তিযোদ্ধার একটি তালিকা দিয়েছি। এর মধ্যে চলতি অর্থবছরে ১০ জনকে ঘর তৈরি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চসিক।

তিনি জানান, প্রথম দফায় তৈরি হবে পতেঙ্গা থানার আলাউদ্দিন, বন্দর থানার শফিউল আলম, সদরঘাটের নূর আহমদ, ডবলমুরিংয়ের মনু মিয়া, চান্দগাঁওয়ের কুতুব উদ্দিন, পাহাড়তলীর মৃত নুরুল ইসলাম, আকবর শাহ থানার মো. ইলিয়াস, বাকলিয়ার মো. আলী হোসেন, বায়েজিদের মৃত সানাউল্লাহ ও পাঁচলাইশের আবু তাহেরের ঘর।

রাতে টেলিফোনে মোজাফফর আহাম্মদ জানান, এটি প্রাথমিক তালিকা। এর মধ্যে কোনো একজন রদবদল হতে পারেন। সেক্ষেত্রে হালিশহরের মুক্তিযোদ্ধা, রাজমিস্ত্রি আবদুস সালামের নাম যোগ হতে পারে।  

মহানগর ইউনিটের সহকারী কমান্ডার আকবর খান বাংলানিউজকে জানান, বাড়ি তৈরির জন্য নির্বাচিত মুক্তিযোদ্ধাদের নিজস্ব জায়গার দলিল, পরচা, মুক্তিবার্তা নম্বর, যুদ্ধকালীন সীমান্তের ওপারের তালিকার নম্বর, গেজেট ইত্যাদি চসিকের সংশ্লিষ্ট বিভাগে জমা দেওয়া হয়েছে। চসিক এখন ভবনের নকশা তৈরি করছে।

চসিকের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি একেএম রেজাউল করিম বাংলানিউজকে জানান, মেয়র মহোদয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ির নকশা তৈরি করছি। বাড়িগুলো একই নকশায় করার ইচ্ছে আছে আমাদের। তবে মুক্তিযোদ্ধাদের জমির পরিমাণ ও আকৃতির ওপর নির্ভর করবে চূড়ান্ত নকশা।

তিনি জানান, একেকটি বাড়ির জন্য ২০ লাখ টাকা হিসাব করে প্রাথমিকভাবে দুটি শোবার ঘর, রান্নাঘর, শৌচাগার, বারান্দা ইত্যাদি থাকতে পারে। এক্ষেত্রে বহুমাত্রিক ব্যবহার, টেকসই, নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব বাড়ি তৈরির দিকে নজর রাখছি আমরা।

আগামী ডিসেম্বরে মেয়রকে দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ি উদ্বোধন করানোর আশাবাদ জানিয়ে কমান্ডার মোজাফফর আহাম্মদ বাংলানিউজকে বলেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার মতো চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বর্তমান মেয়রের ব্যতিক্রমী ও প্রশংসনীয় একটি উদ্যোগ মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ি তৈরি প্রকল্প। আমাদের যেসব মুক্তিযোদ্ধা জীর্ণ কুটিরে বাস করছে তাদের জন্যে এর চেয়ে বড় আনন্দের আর কিছু নেই।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৬

এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।