ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পেশকারের ভুলে রায়, পরে প্রত্যাহার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৪
পেশকারের ভুলে রায়, পরে প্রত্যাহার ছবি: (ফাইল ফটো)

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম আদালতে পেশকারের ভুলে একটি মামলার রায় ঘোষণার পর আবার সেই রায় প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয়েছেন এক বিচারক। মঙ্গলবার চট্টগ্রামের পঞ্চম মহানগর হাকিম আহমদ সাঈদের আদালতে এ ঘটনা ঘটেছে।



আদালত সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার মামলার আসামীপক্ষ বিচারক মহানগর হাকিম আহমদ সাঈদের আদালতের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে আদালত পরিবর্তনের জন্য ফৌজদারি কার্যবিধির ৫২৬ (বি) ধারায় মহানগর দায়রা জজ আদালতে একটি আবেদন করেন। ওই আবেদনটির শুনানির জন্য ২ সেপ্টেম্বর সময় নির্ধারিত থাকায় আসামীপক্ষ পঞ্চম মহানগর হাকিমকে রায় ঘোষণা থেকে বিরত থাকার আবেদন জানান।


ওই আদালতের পেশকার আবুল হাশেম আবেদনটি গ্রহণ রায় ঘোষণা হবেনা বলে আসামীপক্ষকে জানালেও পরে আবেদনটি নথিতে সংযুক্ত করেননি। এতে আদালত ছয় আসামীর প্রত্যেককে এক হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেন।

রায় ঘোষণার খবর শুনে আসামীরা এবং তাদের আইনজীবী মো.সেলিম উদ্দিন আদালতে ছুটে যান। এসময় আইনজীবী আদালতের উদ্দেশ্যে অনাস্থা সংক্রান্ত আবেদন দাখিলের বিষয়টি জানালে বিচারক এ ধরনের কোন আবেদন নথিতে না পাওয়ার কথা জানান। পেশকারের ভুল ধরা পড়ার পর বিচারক রায় প্রত্যাহার করে নেন।

আইনজীবী মো.সেলিম উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, পেশকার আমাদের পিটিশন নথিতে সংযুক্ত না করায় এমন ভুল হয়েছে। বিচারক পেন্সিলে লিখে রায় দিলেও পরে সেটি মুছে ফেলেছেন। শুধুমাত্র পেশকারের ভুলের কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে।

পেশকার আবুল হাশেম আবেদন নথিতে সংযুক্ত না করার কথা অস্বীকার করে বাংলানিউজকে বলেন, আমি আবেদন নথিতে সংযুক্ত করেছি। যেহেতু আবেদনটি মহানগর দায়রা জজ আদালতে শুনানি হয়নি সেজন্য আদালত রায় দিয়েছেন। কিন্তু আবেদন দিয়ে আসামীরা এবং তাদের আইনজীবী চলে গেছেন। পরে তারা এসে এ ব্যাপারে আপত্তি জানালে আদালত রায় মুছে ফেলেন। যেহেতু একটি ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে সেজন্য আদালত এ পদক্ষেপ নিয়েছেন।

মামলার আসামীরা হল, আবু তালেব (৪১), মো.কায়েস (৩৯), মো.এরশাদ খতিবী (৩৮), মো.সিরাজ (৫৪), মো.জাবের (৪৭) এবং মো.সুজাউদ্দিন (৬০)।

এরশাদ খতিবী বাংলানিউজকে জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আলী ইমরান নামে এক ব্যক্তি ২০০৭ সালের ২৭ নভেম্বর তাদের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় একটি জিডি করেন। জিডিতে উল্লেখ করা হয়, আসামীরা আদালত ভবনের আইনজীবী এনেক্স ভবনের সামনে আলী ইমরানকে হুমকি ধমকি দিয়েছেন।

ওই জিডি পরবর্তীতে দন্ডবিধির ৫০৬ ধারায় মামলা রুপান্তরিত হয়। চার্জশীট, চার্জ গঠন এবং দু’জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে পঞ্চম মহানগর হাকিম আহমদ সাঈদ মঙ্গলবার রায় ঘোষণার সময় নির্ধারণ করেন।

কিন্তু এর আগে ১৮ আগস্ট আসামীপক্ষ মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারিক আদালতের উপর অনাস্থা এনে তা পরিবর্তনের আবেদন জানান।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯,২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।