ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ব্যাটারিচালিত রিকশার লাইসেন্স দেওয়ার দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৪
ব্যাটারিচালিত রিকশার লাইসেন্স দেওয়ার দাবি ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: ব্যাটারিচালিত রিকশার লাইসেন্স প্রদানসহ ৫দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল  করেছে মালিক ও চালকরা। মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে চট্টগ্রাম ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা মালিক সমিতির ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করে তারা।



গত ৩ জুলাই ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে ব্যাটারি ও ইঞ্জিনচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের রায় দিয়েছে হাই কোর্ট।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম সাজু।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সমিতির সভাপতি মাস্টার নুরুল ইসলাম ও সহ সভাপতি ফিরোজ আলমসহ সমিতির নেতারা।

খাইরুল ইসলাম সাজু বলেন, ‘ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলে কোন বাধা না দিতে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছিল। মহামান্য হাইকোর্ট পিটিশনটি খারিজ করে দেয়। গত ১৪ জুলাই রায় স্থগিতাদেশ চেয়ে হাইকোর্টের আপীল বিভাগে আবেদন করা হয়। এখন আবেদনটি শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। ’

তিনি বলেন,‘প্রায় দুই লাখ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা মালিক ও চালকের পক্ষ থেকে আকুল আবেদন, আমাদের পরিবার পরিজনের ভরণ পোষণ, ছেলে মেয়ের লেখাপড়া চালানোর জন্য আয় উপার্জনের একমাত্র পথ যেন বন্ধ না হয়। এ ব্যাপারে সবার সহযোগিতা কামনা করছি। ’

সহ-সভাপতি ফিরোজ আলম বলেন,‘রিকশার সরঞ্জাম বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়েছে। এগুলোতো আমরা আনিনি। তখন বাধা দিলে এত এত রিকশা হতো না। এখন কয়েক লাখ গরীব লোক এ পেশায় জড়িয়ে পড়েছে। এ মুহূর্তে যদি রিকশা বন্ধ করে দেওয়া হয় তাহলে কয়েক লাখ লোক বেকার হয়ে পড়বে। ’

সভাপতি মাস্টার নুরুল ইসলাম বলেন,‘১৩টি সংগঠনের আওতায় প্রায় ১ লাখ রিকশা নগরীতে চলাচল করছে। মেয়র লাইসেন্স দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। অটোরিকশার গ্যারেজের সিটি কর্পোরেশন থেকে ট্রেড লাইসেন্সও দেওয়া হয়েছে। এখন যদি বন্ধ করে দেওয়া হয় এসব রিকশা মালিক ও চালকদের পথে বসা ছাড়া উপায় নেই। ’

“কয়েক লাখ মালিক ও চালকের রুটি রোজগারের পথ যাতে বন্ধ না হয় সে জন্য ব্যাটারিচালিত রিকশার লাইসেন্স দেওয়ার জন্য সিটি কর্পোরেশনকে অনুরোধ করছি। ”

দাবিগুলো হলো-ব্যটারিচালিত অটোরিকশার লাইসেন্স প্রদান, ব্যটারিচালিত অটোরিকশা পরিচালনার জন্য বিশেষজ্ঞ মতামত গ্রহণ, প্যাডেল চালিত রিকশাকে ব্যাটারিচালিত রিকশায় রূপান্তর করে অমানবিক পেশা থেকে অসহায় চালকদের মুক্তি দেওয়া, যানজট নিরসণে মেয়াদোত্তীর্ণ সিএনজি অটোরিকশা ও টেম্পু চলাচল বন্ধ করা।

এরআগে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে রিকশা চালকরা চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে সড়ক বন্ধ করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে। এসময় চেরাগী পাহাড় ও জামালখান এলাকায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।