ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘অসাংবাদিকদের রুখতে হবে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৫ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৪
‘অসাংবাদিকদের রুখতে হবে’ ছবি:বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মো. শাহ আলমগীর বলেন, অসাংবাদিকরা যাতে প্রভাব বিস্তার করতে না পারে সাংবাদিক নেতা ও কর্মরত সংবাদ কর্মীদের তা খেয়াল রাখতে হবে। তাদের রুখে দিতে হবে।

সাংবাদিকতার নাম ভাঙিয়ে অপসাংবাদিকতা হলে সাধারণ মানুষ সাংবাদিকদের উপর আস্থা হারিয়ে ফেলবে। তখন আর সাংবাদিকতা বলতে কিছু থাকবে না।

 
মঙ্গলবার চট্টগ্রামে কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মীদের নিয়ে কর্মশালার সমাপনি অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

‘ইউনিভার্সেল হেলথ কাভারেজ’ বিষয়ক চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে দু’দিন ব্যাপী এ কর্মশালার আয়োজন করে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইবি) ও চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে)। সিইউজের সভাপতি এজাজ ইউসুফীর সভাপতিত্বে  কর্মশালার সমাপনি অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন বিএমএ চট্টগ্রাম সভাপতি ডা. মুজিবুল হক খান, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব সভাপতি আলী আব্বাস, সিইউজে সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস, নির্বাহী সদস্য রাশেদ মাহমুদ। সমাপনি দিনে প্রশিক্ষণ দেন কালের কণ্ঠের সিনিয়র রিপোর্টার তৌফিক মারুফ।

পিআইবি মহাপরিচালক শাহ আলমগীর বলেন, যেকোন নিউজ করার সময় সাংবাদিকদের দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। আপনার কলমের খোঁচায় একজন মানুষের তিলে তিলে গড়ে তোলা সারা জীবনের অর্জন নিমিষেই শেষ  হয়ে যেতে পারে। সুতরাং আপনাকেই বেছে নিতে হবে আপনি কি করবেন। আপনি কি কলম দিয়ে মানুষ খুন করবেন? না দেশকে বিশ্ব মঞ্চে তুলে ধরবেন।

তিনি বলেন, এখনো পর্যন্ত সাধারণ মানুষের আস্থা আছে সাংবাদিকদের প্রতি। যখন কোন মানুষ জনপ্রতিনিধিদের কাছে গিয়ে বিচার পাই না, পুলিশের কাছে গিয়ে বিচার পাই না, তখন মানুষ সাংবাদিকদের কাছে আশ্রয় খোঁজে। একমাত্র অবলম্বন মনে করে।   সুতরাং এ আস্থা হারিয়ে গেলে আর সাংবাদিকতা বলে কিছু থাকবে না। এখন পুলিশের কথা বললে যেমন মানুষের কাছে একটি নেতিবাচক প্রতিচ্ছবি ভেসে উঠে, তেমনি সাংবাদিকদের কথা বললেও নেতিবাচক প্রতিচ্ছবি ভেসে উঠবে।

সিইউজে সভাপতি এজাজ ইউসুফী বলেন, চিকিৎসা খাতে যে নৈরাজ্য চলছে তা জাতির সামনে তুলে ধরতে হবে। রোগীদের জিম্মি করে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে গলাকাটা ফি আদায় করা হয়। কোন টেস্টে কত ফি তা সাধারণ মানুষ জানে না। একেকটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে একেক রকম। প্রতিটি টেস্টের নির্দিষ্ট মূল্য ও বেসরকারি হাসপাতালে সহনীয় ফি নির্ধারণের জন্য বিএমএ’র প্রতি আহবান জানান তিনি। একই সঙ্গে সরকারকে এধরণের একটি নীতিমালা প্রণয়নেরও দাবি জানান।

কর্মশালার সমাপনি অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন পিআইবি’র হিসাব কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন চৌধুরী। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন দু’দিন ব্যাপী কর্মশালার যুগ্ম সমন্বয়কারী জিলহাজ উদ্দিন। প্রশিক্ষণে চট্টগ্রামে কর্মরত বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকা ও অনলাইন সংবাদ মাধ্যমের সংবাদ কর্মীরা অংশ নেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad