চট্টগ্রাম: কুকুর লেলিয়ে দিয়ে মেধাবী ছাত্র হিমু হত্যা মামলায় পঞ্চম সাক্ষী মাদকবিরোধী সংগঠন ‘শিকড়’র সদস্য ইখতিয়ার উদ্দিনের জেরা অব্যাহত আছে।
মঙ্গলবার ইখতিয়ার উদ্দিনকে আসামী শাওনের পক্ষে জেরা শেষে আসামী শাহ সেলিম টিপুর পক্ষে জেরা করেন আইনজীবী।
চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ সহীদুল ইসলামের আদালতে এ মামলার কার্যক্রম চলছে।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলী ও অতিরিক্ত মহানগর পিপি অনুপম চক্রবর্তী বাংলানিউজকে বলেন, সাক্ষী ইখতিয়ার উদ্দিনের জেরা অব্যাহত আছে। ২৪ জুন আবারও জেরা হবে।
উল্লেখ্য ঘটনার দিন দুপুরে ইখতিয়ার উদ্দিন ঘটনাস্থলের পাশে মসজিদ থেকে নামাজ আদায় করে বের হয়ে হিমুকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান। তিনি দ্রুত হিমুকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
চাঞ্চল্যকর এ মামলায় বাদিসহ এ পর্যন্ত চারজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
২০১২ সালের ২৭ এপ্রিল নগরীর পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকার ১ নম্বর সড়কের ‘ফরহাদ ম্যানশন’ নামের ১০১ নম্বর বাড়ির চারতলায় হিমুকে হিংস্র কুকুর লেলিয়ে দিয়ে নিমর্মভাবে নির্যাতন করে সেখান থেকে ফেলে দেয় অভিজাত পরিবারের কয়েকজন বখাটে যুবক।
গুরুতর আহত হিমু ২৬ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে ২৩ মে ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান। হিমু পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকার ১ নম্বর সড়কের ইংরেজি মাধ্যমের সামারফিল্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজের ‘এ’ লেভেলের শিক্ষার্থী ছিল।
এ ঘটনায় হিমুর মামা শ্রীপ্রকাশ দাশ অসিত বাদি হয়ে পাঁচলাইশ থানায় পাঁচজনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিযুক্ত পাঁচ আসামি হলেন, জাহিদুর রহমান শাওন, জুনায়েদ আহমেদ রিয়াদ এবং তার বাবা শাহ সেলিম টিপু, শাহাদাত হোসেন সাজু ও মাহবুব আলী ড্যানি।
২০১২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পাঁচলাইশ থানা পুলিশ ওই মামলায় এজাহারভুক্ত পাঁচজন আসামীকে অন্তর্ভুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি আসামীদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়। ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ঘণ্টা, জুন ১৭,২০১৪