ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রোজার আগেই ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে উচ্ছেদ অভিযান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৫ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৪
রোজার আগেই ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে উচ্ছেদ অভিযান ছবি:ফাইল ফটো

চট্টগ্রাম: আসন্ন রমজানের আগেই চট্টগ্রাম নগরীর ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়গুলো অবৈধ বসতি উচ্ছেদে অভিযান চালাবে জেলা প্রশাসন।

মঙ্গলবার বিকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির এক প্রস্তুতি সভায় এ ঘোষণা দেওয়া হয়।



সভায় জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটি ইতোমধ্যেই ৩০টি ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় চিহ্নিত করেছে। এর মধ্যে ১১টি পাহাড়ে ৬৬৬টি পরিবার অতি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাস করছে।
তাদেরকে স্থায়ীভাবে উচ্ছেদের জন্য রোজার আগেই উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হবে। ’

জেলা প্রশাসক বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে যেসব বসতি রয়েছে সবগুলোই অবৈধ। কিছু চিহ্নিত ব্যক্তি পাহাড় কেটে এসব বসতি নির্মাণ করে ভাড়া দিচ্ছেন। বসতি নির্মাণকারীদের একটি তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনকে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। ’

সভায় মেজবাহ উদ্দিন দাবি করেন অতীতে অস্থায়ী পুনর্বাসনের কারণে বছরের পর বছর পাহাড়ে অবৈধ বসতি বাড়ছে। তাই এসকল বসতিকে পুনর্বাসনের পরিবর্তে স্থায়ীভাবে উচ্ছেদ করে এসব জায়গায় গাছ লাগানো হবে।

“অস্থায়ী পুনর্বাসনের কারণে মতিঝর্ণা ‍পাহাড় গতবছরের তুলনায় চলতি বছরে দ্বিগুন কাটা হয়েছে। এভাবে চলতে পারে না। তাদের স্থায়ীভাবে উচ্ছেদের বিকল্প নেই। অবৈধভাবে বসত স্থাপনকারীরা সেখানেও ভাড়া থাকে, তাদের উচ্ছেদ করা হলে অন্য জায়গায় ভাড়া থাকবে। ”


তিনি বলেন, ‘অবৈধ বসতিতে উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে গতবারের মতো এবারও নগরীর দুইটি মাঠে অস্থায়ী পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে। অন্য কোন জায়গায় ঘর ভাড়া না নেওয়া পর্যন্ত তারা সেখানে থাকবে। পূণরায় পাহাড়ে ফিরে যাওয়ার সুযোগ নেই। ’

সভায় পাহাড়ে অবৈধ বসতিগুলোতে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ থাকায় কেজিডিসিএল, পিডিবি ও ওয়াসার কর্মকর্তাদের দোষারোপ করেন জেলা প্রশাসক। এসময় অবিলম্বে এসব অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের তাগিদ দেন তিনি।

“অবৈধ বসতিতে কোন যুক্তিতেই বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাসের সংযোগ দেওয়ার সুযোগ নেই। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কারণেই এটা হয়েছে। শীঘ্রই এসব সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হবে। ”

প্রস্তুতি সভায় পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এস এম আবদুল কাদের বলেন, ‘পাহাড়গুলোর মধ্যে মতিঝর্ণা ও বাটালি হিল সংলগ্ন পাহাড়টিই সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। তাই অভিযানের শুরুতেই এ পাহাড়ে অবৈধ বসতিদের উচ্ছেদ করা হবে। ’

তিনি এসময় অভিযান চলাকালে ওয়াসা, রেলওয়ে, সিটি কর্পোরেশন, সিডিএসহ সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানের নূন্যতম তিনজন প্রতিনিধি উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করেন।

সভায় এছাড়াও বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. নাঈমুল হাছান, নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (দক্ষিণ) মনজুর মোরশেদ, রেঞ্জ কমান্ডার কার্যালয়ের উপ-পরিচালক এ এস এম আজিম উদ্দিন, বিভাগীয় ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সহকারী প্রকৌশলী হারাধন আচার্য্য, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বিপুল কৃষ্ণ দাস, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা দেবাশীষ দত্ত প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৯ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad