চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র থাকাকালে দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের হওয়া একটি মামলা থেকে এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে হাইকোর্টের আদেশে অব্যাহতি দিয়েছেন বিচারিক আদালতের বিচারক চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ এস এম মুজিবুর রহমান সাবেক মেয়র মহিউদ্দিনকে অব্যাহতি দিয়ে আদেশে স্বাক্ষর করেন।
নগরীর আলকরণ এলাকায় নূপুর মার্কেট নামে একটি ভবনের হোল্ডিং ট্যাক্স বিধিবর্হিভূতভাবে কমিয়ে দেয়ার অভিযোগে ২০০৩ সালে মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেছিল দুর্নীতি দমন ব্যুরো।
মহিউদ্দিনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রণি কুমার দে বাংলানিউজকে বলেন, সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০১২ সালে তাকে অব্যাহতি দেয়ার আদেশ দিয়েছিল।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী মেয়র থাকাকালে কোতয়ালি থানায় চট্টগ্রাম জেলা দুর্নীতি দমন ব্যুরোর সহকারী পরিচালক মো. সিরাজুল হক বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, ২০০০ সালে নগরীর আলকরণ এলাকায় নূপুর মার্কেটের হোল্ডিং ট্যাক্স ১৭ লাখ ৫৫ হাজার ৭৭০ টাকা থেকে কমিয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের রিভিউ বোর্ড ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা নির্ধারণ করে। নূপুর সিনেমার মালিক সাহেদ আজগর চৌধুরী মেয়র বরাবর হোল্ডিং ট্যাক্স কমানোর আবেদন করলে তৎকালীন মেয়র মহিউদ্দিন আরও কমিয়ে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ধার্য করেন।
মেয়র ক্ষমতাবহির্ভূতভাবে হোল্ডিং ট্যাক্স কমিয়ে সিটি করপোরেশনের আর্থিক ক্ষতি করেছেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
১৯৯৫-৯৬ অর্থবছরে ৩ লাখ, ১৯৯৯-২০০০ অর্থবছরে ৩ লাখ এবং ২০০১-২০০২ অর্থবছরে ৩ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৩ সালের ৩১ মার্চ মহিউদ্দিন চৌধুরী ও নূপুর মার্কেটের মালিক সাহেদ আজগর চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
২০০৪ সালে এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী হাইকোর্টে মামলা বাতিলের আবেদন জানান। ২০১২ সালের ৬ আগস্ট বিচারপতি বোরহান উদ্দিন ও বিচারপতি মাহমুদুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ মামলা থেকে মহিউদ্দিনকে অব্যাহতি দেয়ার আদেশ দেন। গত ১৯ মে এ আদেশ চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে এসে পৌঁছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৪