ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ইউএসটিসিতে ৫ম দিনের কর্মবিরতি, দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩০ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৪
ইউএসটিসিতে ৫ম দিনের কর্মবিরতি, দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: চাকুরি বিধিমালা প্রণয়ণসহ বিভিন্ন দাবিতে পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করেছে বেসরকারি চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারিরা।

বৃহষ্পতিবার সকাল নয়টা থেকে এ কর্মবিরতি শুরু হয়।



এদিকে, আন্দোলনের পঞ্চম দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকটবর্তী জাকির হোসেন সড়কে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে আন্দোলনকারিরা। এসময় অবিলম্বে সকল দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানায় তারা।


সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘সেবামূলক হলেও ইউএসটিসি একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান । যাদের সারা দিনের শ্রম ও ত্যাগের বিনিময়ে ইউএসটিসি স্বগৌরবে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তারা দীর্ঘদিন ধরে নূন্যতম মজুরি নিয়ে কাজ করে আসছে, মজুরির সঙ্গে যুগোপযোগী কোন সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে না। ’

বক্তারা বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানের আয়ের অর্থ কোন ধরণের অবকাঠামোগত উন্নয়নে ব্যয় না করে জনসেবা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অবৈধভাবে ব্যবহার করছেন। তিনি কোন রকম প্রাতিষ্ঠানিক ও বৈধ ফোরামের অনুমোদন ছাড়াই ওই টাকা ব্যক্তিগত বিদেশ সফর এবং নিজেদের পারিবারিক কল্যাণে ব্যয় করছেন। তার এ অনিয়মের কারণেই ইউএসটিসি’র মুল ক্যাম্পাস, শিক্ষার্থী ও এখানে কর্মরত অ্যাপ্লয়িজদের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হচ্ছে না। ’

ইউএসটিসি’র ট্রাস্ট্রি বোর্ড ও জনসেবা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যানকে উদ্দেশ্য করে বক্তারা বলেন, ‘অবিলম্বে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ন্যায্য দাবিসমুহ মেনে নিয়ে একটি গ্রহণযোগ্য নীতিমালার মাধ্যমে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট যথাযথভাবে কার্যকর করুন। চট্টগ্রামবাসী আপনাদের স্বাগত ও অভিনন্দন জানাবে। অন্যথায় অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় ব্যর্থতার জন্য আপনাদের দায়ী থাকতে হবে। ’

বক্তারা তাদের বক্তব্যে ইউএসটিসি’র এমপ্লয়ীদের আন্দোলনের প্রেক্ষাপট, নানাবিধ সমস্যাবলী, ট্রাস্ট্রি বোর্ডের নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা তুলে ধরে একটি গ্রহণযোগ্য সার্ভিস রোল ও যুগোপযোগী সুযোগ-সুবিধাসহ টাইম স্কেল, গ্র্যাচুয়িটি সম্বলিত পে-স্কেল বাস্তবায়ন এবং রাষ্ট্রপতি কর্তৃক অনুমোদিত ভিসি, প্রোভিসি, ও ট্রেজারার নিয়োগের দাবি জানান।

শিক্ষক-চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের সদস্য সচিব মো. আনোয়ারুল ইসলাম বাপ্পী’র সঞ্চালনায় ও অধ্যাপক ডা. দিদারুল আলমের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিশ্বববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম ইছহাক চৌধুরী সার্জারী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সিন্ডিকেট মেম্বার ডা. বদিউল আলম, সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী, সহযোগী অধ্যাপক ডা. মাহবুবুল আলম, সহযোগী অধ্যাপক ডা. আবদুল আহাদ মোহাম্মদ রায়হান উদ্দিন, ফার্মেসী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. কিশোর মজুমদার, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক প্রকৌশলী ড. মোজাম্মেল হক,  এফএসইটি’র ভারপ্রাপ্ত ডিন মো. রেজুয়ান করিম ও সহকারী অধ্যাপক হাবিবুল্লাহ, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী আবদুর রহিম, আবু তাহের, মানিক মিয়া, জাহাঙ্গীর আলম, আবদুল আজিজ প্রমুখ।

এর আগে, কালো ব্যাজ ধারণ করে আন্দোলনকারিদের একটি বিক্ষোভ মিছিল ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে।

প্রসঙ্গত, গত রোববার থেকে শিক্ষক-চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারিদের এ আন্দোলন চলছে। আন্দোলন চলাকালে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করে আসছে আন্দোলনকারিরা। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাভুক্ত হাসপাতালের কার্যক্রম চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।