চট্টগ্রাম: জমে উঠেছে চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। শুক্রবার ছুটির দিনে সকাল থেকেই দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে মেলা প্রাঙ্গণ।
তবে বিক্রেতারা বলছেন, ভিড় বাড়লেও আশানুরূপ বিক্রি হচ্ছে না।
সকাল থেকেই মেলায় দর্শনার্থীদের উপস্থিতি থাকলেও দুপুরের পর থেকে বাড়তে থাকে ভিড়।
এবারের মেলায় স্বাগতিক বাংলাদেশসহ ভারত, চীন, থাইল্যান্ড, ইরান, পাকিস্তান প্রভৃতি দেশের ৩৮টি প্যাভিলিয়ন ও ২৩৯টি স্টল রয়েছে।
নজর কেড়েছে আবুল খায়ের কনজুমার
মেলার প্রবেশ পথেই যে কোন দর্শনার্থীর নজর কাড়তে বাধ্য আবুল খায়ের কনজুমারের (মার্কস ও সিলন চা) প্যাভেলিয়নটি। দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা, বৈচিত্রময় আয়োজন আর নানা ধরণের উপহার দর্শনার্থীদের আরো কাছে টেনেছে প্যাভিলিয়নটি।
প্যাভিলিয়নে দায়িত্বরত বিপনন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে জানান, সাধারণ ক্রেতাদের আকর্ষণের জন্য স্টলে রয়েছে সার্কাস প্রদর্শনী।
শিশুদের জন্য রয়েছে নাগরদোলা। এছাড়া, ক্রেতাদের জন্য বিশেষ ছাড়ে ৬টি প্যাকেজ দেওয়া হচ্ছে। ক্রেতারা পণ্য কিনলেই পাচ্ছে বিশেষ কুপন। যাতে রয়েছে ১৪ ইঞ্চি কালার টিভি, মাইক্রোয়েভ ওভেনসহ ১২ ধরণের পুরষ্কার।
তিনি বলেন, ‘মেলার শুরু থেকেই আমাদের প্যাভেলিয়নটি ক্রেতাদের ভিড়ে মুখরিত। বলতে গেলে একেবারে দম ফেলার ফুসরত নেই। ’
মেলায় আবুল খায়ের ছাড়াও ইউনিলিভার, প্রাণ, কিশোয়ান, আরএফএল, এন মোহাম্মদ প্রভৃতি স্টলগুলোতেও ভিড় ছিল লক্ষ্য করার মতো।
এগিয়ে থাই প্যাভিলিয়ন
প্রতিবারের মতো এবারও মেলায় ক্রেতাদের ব্যস্ত দেখা গেছে গৃহস্থলী পণ্য, ইমিটেশনের গয়না, কসমেটিকসের স্টলগুলোতো। আর এসব পণ্যের বিপুল সমাহারের কারণে বিদেশী প্যাভিলিয়নগুলোতে এগিয়ে রয়েছে থাই প্যাভিলিয়ন।
নাদিরা আনজুম নামে এক ক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, ‘মেলার প্রায় প্রতিটি প্যাভিলিয়ন ঘুরে দেখেছি। কসমেটিকসের বৈচিত্রময় সংগ্রহের কারণে এখান থেকেই আমার সবচেয়ে বেশী কেনাকাটা হয়েছে। ’
বিক্রেতাদের মুখে পুরোনো বুলি
মেলা যখন ক্রেতাদের উপস্থিতিতে সরগরম, তখনও অধিকাংশ বিক্রেতার মুখে সেই পুরোনো বুলি ‘ব্যবসা নেই’! তারা বলছেন, দর্শনার্থী বেড়েছে ঠিক, কিন্তু বেচাকেনা বাড়েনি।
‘নুসরাত কালেকশন’ নামে একটি স্টলের বিক্রেতা আমিন বাংলানিউজকে জানান, তিনি আগেও বেশ কয়েকবার চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় অংশ নিয়েছেন। কিন্তু এত কম ব্যবসা কখনো হয়নি।
একই ধরণের মন্তব্য দুবাই কালেকশনের মোজাম্মেল হোসেনের। তিনি বলেন, ‘শুক্রবার হওয়ায় আমরা আশা করেছিলাম কিছু অতিরিক্ত বেচাবিক্রি হবে।
সেরকম কিছু হয়নি। ’
ব্যবসা না হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘টি-২০ বিশ্বকাপের কারণে হয়তো ক্রেতারা মেলায় আসছে না। ’
নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা মেলা প্রাঙ্গণে
দর্শনার্থীর ভিড়ে মেলায় চলাচলে বাড়তি দুর্ভোগের সঙ্গে আনন্দেরও একটা যোগ আছে। তবে বিপত্তি যে জায়গায় থাকে সেটাকে ঘুচিয়ে নিয়েছে আয়োজকরা।
মেলার প্রবেশ পথ থেকে প্রাঙ্গণ পুরোটাই থাকছে সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ে। বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে র্যাব-পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্পের পাশাপাশি প্রস্তুত রাখা হয়েছে ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়ি। এছাড়া, লেনদেনের জন্য রয়েছে ইউনিয়ন ব্যাংকের একটি বিশেষ শাখা।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৮ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৪